লিওনেল মেসির অবসরের আগে অন্তত একবার তার সাথে একই দলে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বার্সেলোনার তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। গ্রীষ্মে লিওয়ানদোস্কি বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ক্যাম্প ন্যুতে সমর্থকদের প্রিয় খেলোয়াড়ে পরিনত হয়েছেন এই পোলিশ তারকা। লা লিগায় বার্সেলোনা এই মুহূর্তে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ৩৪ বছর বয়সী লিওয়ানদোস্কির সাথে ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত বার্সেলোনার চুক্তি রয়েছে। এর সাথে আরো এক বছরের চুক্তি বৃদ্ধির শর্ত রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে আরো কয়েক বছর ক্যাম্প ন্যুতেই থাকছেন এই ফরোয়ার্ড। সম্প্রতি লিওয়ানদোস্কি জানিয়েছেন, বার্সার কিংবদন্তি খেলোয়াড় মেসির সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে চান। আগামী মৌসুমে পিএসজির সুপারস্টার মেসির বার্সেলোনায় ফিরে আসার জোড় গুঞ্জন রয়েছে। পোল্যান্ডের এই অধিনায়ক বলেছেন, মেসি বর্তমানে প্লেমেকার হিসেবে দলে বেশি ভূমিকা পালন করছেন। যেকোনো স্ট্রাইকারেরই স্বপ্ন থাকে এমন একজন খেলোয়াড়ের সাথে এক দলে খেলার।
লিওয়ানদোস্কি বলেন, ‘এটা আমার ওপর নির্ভরশীল নয়। এই মুহূর্তে সে প্লেমেকার হিসেবেই বেশি অবদান রাখছে। এজন্য হয়তো সে গোল বেশি পাচ্ছে না। সতীর্থদের বেশি পাস দিচ্ছে, তাদের নিয়ে গোল করাচ্ছে ঠিকই, আবার নিজেও গোল করছে। তার সাথে খেলার স্বপ্ন যেকোনো স্ট্রাইকারেরই আছে।’
গত বছর করোনার কারনে বার্সেলোনা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লে মেসির সাথে আর চুক্তি বৃদ্ধি করেনি। সে কারণে মেসি প্যারিসে পাড়ি জমান। চলতি মৌসুমের পরেই পিএসজির সাথে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর সে কারণেই চারিদিকে জোড় গুজব আবারো বার্সেলোনায় ফিরছেন মেসি। যদিও বিভিন্ন রিপোর্টের সূত্রমতে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী মেসি মৌখিকভাবে আরো এক বছর পিএসজিতে থাকার কথা জানিয়েছেন। সে কারণে এই মুহূর্তে মেসির সাথে বার্সেলোনায় লিওয়ানদোস্কির একসাথে খেলার স্বপ্ন আপাতত বাস্তবায়নের সম্ভবনা কম। তবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ে সহযোগিতা করায় মেসিই পাচ্ছেন আগামীবারের ব্যালন ডি’অর, এমনটাই বিশ্বাস করেন লেভা।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একই ক্লাবে অনেক খেলোয়াড় থাকতে পারে যারা লিগ শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখে। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে সাধারণত একজন খেলোয়াড়েরই মূল অবদান থাকে। এবার সেটা মেসি আবারো প্রমাণ করেছেন। ব্যালন ডি’অর জয়ে তিনি সবদিক থেকেই এগিয়ে রয়েছেন। ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে তার অবদানই ছিল সর্বাগ্রে।’