উত্তরের জনপদ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত প্রবাহ। কখনও ঘন কুয়াশা আবার কখনও কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূল, দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা এই প্রচন্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণির মানুষ। আর এই শীতে অনেকেই অর্থের অভাবে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে না পারার কারণে অনেকটাই কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। এই সব শীতার্তদের মানুষদের গরম কাপড়ের অভাব থেকে রক্ষা করতে প্রতি শীত মৌসুমেই সরকার, বিভিন্ন এনজিও, সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীত বস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার নিজেই শীতার্ত মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছেন। তিনি গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার তারাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ও সান্তাহার জংশন স্টেশনে অবস্থান করা ছিন্নমূল, অসহায়, খেটে খাওয়া শীর্তাত মানুষদের খুঁজে খুঁজে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র (কম্বল) হাতে তুলে দেন। এ সময় এক শীতার্তকে তার অজান্তেই গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিতেও দেখা যায়। শীতবস্ত্র বিতরণের সময় ইউএনওকে সহযোগীতা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, কয়েক দিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়েছে। এই শীতের কারণে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে পড়েছে বিপাকে। তাই প্রকৃত শীর্তাতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই শীত বস্ত্র পৌঁছে দিতে আমি চেস্টা করেছি মাত্র। বিশেষ করে রাতে রেল স্টেশনে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ছিন্নমূল মানুষ, ভ্যান চালক, অসহায় মানুষদের মাঝে এই শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার চেস্টা করছি। আশা রাখি এই শীত বস্ত্রগুলো পেয়ে এই মানুষগুলো অনেক উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে। শীতবস্ত্র পাওয়া আমেনা বেওয়া বলেন, শীত অনেক বেড়েছে। এই শীতের মধ্যে ইউএনও স্যারের দেওয়া এই শীত বস্ত্র আমাদের অনেক উপকারে আসবে।