রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হাট বাজারগুলোতে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। নোংরা আবর্জনা যেখানে সেখানে স্তুপ করে রাখায় চারিদিকে দুর্গদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পথচারীরা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নামমাত্র থাকলেও অপরিচ্ছন্ন থাকায় দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ভারী বর্ষণে ড্রেন থেকে দুগন্ধময় পানি উপচে রাস্তায় ছয়লাপ হয়ে যায়। হাট বাজারগুলোতে ইজারাদার কর্তৃক টোল আদায় করা হলেও কিছু ব্যবসায়ী স্থায়ীভাবে দখল করে আসছে। ফলে বাজারের জায়গায় বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কোন স্থান পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রাস্তার উপরে দোকানের সামনে মালামাল রেখে ব্যবসা করায় হাট বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতা চলাফেরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। বাজারের স্থায়ী দোকানগুলোর সামনে ফুটপাত দখল করে বেচাকেনা করায় সাধারণ মানুষ অসুবিধার মধ্যে পড়ে এবং এতে দুর্ঘটনা ঘটে। হাট বাজারগুলোর রাস্তা ঘাট অবস্থা আরো করুন। এছাড়া হাট বাজারগুলো কোথায় পর্যাপ্ত কোন প্রসাবখানা এবং টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। প্রতিবছর অর্ধকোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হলেও হাট বাজার উন্নয়নের তেমন কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় না। অপরদিকে উপজেলার বেতগাড়ী গরুর হাটে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। একটু বৃষ্টি হলে গরুর হাটে কাঁদা জমে ক্রেতা বিক্রেতারা দুর্ভোগে পড়েন। হাট ইজারাদার মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফ বলেন, করোনাকালে গরুর হাট বন্ধ ছিল, অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর এই হাটে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হলেও কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি গরুর হাটে মাটি ভরাট করণের দাবি জানান।