ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা শারদ যাদব মারা গেছেন। ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলেন ভারতের এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) টুইটারে শারদ যাদবের মৃত্যু নিশ্চিত করেন তার মেয়ে সুভাষিণী। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘বাবা আর নেই।’ জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে গুরুগ্রামের ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা স্থানীয় সময় রাত ১০ টা ১৯ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের হোসঙ্গাবাদ জেলার ববাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শারদ যাদব। ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনীতি শুরু করেন তিনি। নিজেকে কংগ্রেস বিরোধী শিবিরের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন এবং পরে জেপি আন্দোলনে যুক্ত হন। তিনি কংগ্রেস ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী লালু যাদবের সঙ্গেও যুক্ত হন। বিহারে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে মহাজোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শারদ যদিব। ৯০-এর দশকের শেষের দিকে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার ও ১৯৮৯ সালে ভিপি সিং সরকারের মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।
তিনবার রাজ্যসভার সদস্য ও সাতবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন শারদ যাদব। বিহারের ক্ষমতাসীন জনতা দল ইউনাইটেডের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মহাজোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পর পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১৮ সালে শারদ যাদব তার নিজস্ব ‘লোকতান্ত্রিক জনতা দল’ গঠন করেন। কিন্তু দুই বছর পরে এটিকে লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে একীভূত করেছিলেন।
এদিকে, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘শারদজির প্রয়াণে গভীরভাবে ব্যথিত। দীর্ঘ জনজীবনে তিনি নিজেকে একজন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, তা সবসময় মনে থাকবে।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন তার পরিবারের প্রতি। সূত্র: এনডিটিভি