শেয়ারহোল্ডারদের তোপের মুখে অবশেষে তথ্য এবং মতের নির্বিঘ্ন প্রবাহের পক্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। খবর রয়টার্সের অ্যাপলের মানবাধিকার নীতিমালা সম্পর্কিত এক তথ্য বিবরণীতে এ অবস্থানের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই শেয়ারহোল্ডারদের রোষানলে পড়েছে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট।
চীনের গ্রাহকদের জন্য অ্যাপস্টোর থেকে কিছু ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ সরিয়ে নেওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে এক বার্ষিক নির্বাহী বৈঠকে তথ্য এবং মতের নির্বিঘ্ন প্রবাহে অ্যাপলের সম্মতির জন্য জোর দাবি জানায় শেয়ারহোল্ডাররা। এ দাবির পক্ষ-বিপক্ষ ভোটাভুটিতে ৪০.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হেরে যায় অ্যাপল।
তথ্য বিবরণীতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড সমাজের নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও যুক্তিগত চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য দেয়। সমাজের নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও যুক্তিগত চিন্তাভাবনাকে বিকশিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহের পক্ষপাতি প্রতিষ্ঠানটি। আমরা সুনিশ্চিত যে, একমাত্র এই তথ্যের অবাধ প্রবাহ চলমান রাখার মাধ্যমে নাগরিদের মধ্যে স্বচ্ছতা ধরে রাখতে সক্ষম হব। যদিও, একটি রাষ্ট্রের সাথে আমাদের মতানৈক্য রয়েছে, তথ্য বিবরণীতে আরও যোগ করে অ্যাপল। অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের এই মানবাধিকার নীতিমালা, ব্যবসা এবং মানবাধিকারের উপর জাতিসংঘের প্রণীত নির্দেশনা মেনে করা হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে মানবধিকার কর্মীরাও। জাতিগত বৈষম্যকে অপব্যবহার করে যে সকল চীনা ফ্যাক্টরিগুলো ব্যবসা করছে, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নে চাপ দিচ্ছে মানবধিকার কর্মীরা। এদিকে হংকংয়ে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের অবস্থান ট্র্যাকিং অ্যাপ সরিয়ে নেয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাপল।