লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় রেজাউল ইসলাম (৫২) নামে এক সহকারী অধ্যাপকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার সাপুকুর ইউনিয়নের কদমতলা ব্রীজ এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। মৃত রেজাউল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত কিসমত আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছে কলেজ শিক্ষক রেজাউলের পরিবারের। গত শনিবার চাচীর সাথে বিরোধে জড়ানোর দায়ে শাসন করতে গিয়ে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন রেজাউল। এরপর, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে আহত মেয়েকে নিয়ে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা অবস্থান করায় রোববার রাতে বাড়িতে একা ছিলেন সহকারী অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম। সোমবার সকালে স্থানীয়রা নিজ বাড়িতে রেজাউলের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে আদিতমারী থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মৃত সহকারী অধ্যাপক রেজাউলের শ্যালক জামিনুর রহমান বলেন, রেজাউলের সাথে তার ভাইদের সম্পর্ক অবনতি ছিল দীর্ঘ দিনের। আহত ভাগ্নির সাথে রংপুর হাসপাতালে ছিলেন বোন ও ভাগিনা। তাই রাতে বাড়িতে একা ছিলেন রেজাউল। তাকে হত্যা করে কেউ ঝুলে রেখেছে বোন ও ভাগ্নিকে ফাঁসাতে। মাথা রশিতে ঝুলে থাকলেও পা বিছানায় পড়ে রয়েছে। হত্যাকারীরা আত্নহত্যার নাটক সাজাতে এমনটা করতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। আদিতমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।