প্রায় সবারই খুশকি নিয়ে কম-বেশি ভোগান্তির অভিজ্ঞতা আছে। বাজারে খুশকি দূর করার যেসব শ্যাম্পু পাওয়া যায়, তাতে থাকা রাসায়নিকের কারণে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই বেছে নিতে হবে এমন কিছু, যাতে চুলের ক্ষতি হবে না আবার খুশকিও দূর হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক খুশকি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়-
নিম: নিমপাতা আমাদের নানা উপকারে লাগে। খুশকি তাড়াতেও এটি সমান কার্যকরী। নিমপাতার পাতার পেস্ট তৈরি করে একবাটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
লাগিয়েলেবু ও ডিমের সাদা অংশ: দুটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এক চামচ লেবুর রস মেশান। মিনিট ত্রিশেক চুলে রেখে দিন, তারপর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হবে দ্রুতই। ডিমের সাদা অংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা চুল ভালো রাখে।
আমলকি; এই ফল ভিটামিন সি-তে ঠাসা। খুশকি দূর করতে কার্যকরী আমলকি। আমলকি গুঁড় করে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ৮ থেকে ১০ টা তুলসি পাতা অল্প পানি দিয়ে পেস্ট করে আমলকির পেস্টের সাথে মেশান। এরপর চুলের গোড়ায় লাগান। প্রায় ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু করে নিন।
মেথি: মেথিতে আছে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড, যা চুল পড়া এবং খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া চুলের শুষ্কতা, চুল ওঠা এবং চুলের পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও কমায় মেথি। রাতে তিন চামচ মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মেথির পেস্টে এক চামচ লেবুর রস মেশান। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত এই পেস্ট প্রয়োগ করুন। ত্রিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
আমলকি, রিঠা ও শিকাকাই: আমলকি, রিঠা এবং শিকাকাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য উপকারী। সংক্রমণজনিত দূর করে চুল পরিষ্কার রাখতে রিঠা অত্যন্ত কার্যকরী। ৫-৬ টি রিঠা, শিকাকাইয়ের ৬-৭ টুকরো এবং কয়েকটি আমলকি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু হিসাবে এই তরল মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।