করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সকল অফিস, আদালত, গণ পরিবহন সবকিছুই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে দুর্বিপাকে পড়েছেন বিত্তহীন, অসহায়, দিনমজুর, বিকশাচালক ও অস্বচ্ছল মানুষেরা। তাছাড়া দেশের প্রান্তিক মানুষেরা করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কেও ততটা সচেতন নয়।এই বিষয়ে নওগাঁর রাণীনগরে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা গ্রাম পর্যায়ে না পৌছার কারণে তারা করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না। এছাড়াও প্রশাসনের অবহেলায় সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বা নিয়মনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের ভ’মিকা কঠোর না হওয়ার কারণে নিষেধ অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাট ও বাজার বসায় সেই সব জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর জনসমাগম। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল। এছাড়াও গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে বিভিন্ন মোড়ের দোকাগুলোতে লোকের জটলা চোখে পড়ার মতো।উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা কিংবা দোকান থেকে জিনিস ক্রয় করা উচিত সে বিষয়ে সাধারন মানুষদের মাঝে কোন বালাই নেই। এক জায়গায় জমায়েত হয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে দীর্ঘসময় পার করে প্রয়োজনীয় পন্য কিনছেন। এছাড়াও এই সব মানুষদের মুখে নেই মাস্ক কিংবা হাতে গ্লোপস। উপজেলার ঐতিহ্যবাহি হাট আবাদপুকুর হাট সপ্তাহের দুই দিন তার নিয়মেই বসছে এবং আগের মতো ক্রেতারা হাটে সমাগম করছেন।
এছাড়া প্রশাসনের ঘোষনা করা বিকেল ৫টা থেকে শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ব্যতিত সকল ধরণের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও তা উপজেলার অনেক জায়গায় তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার গোলচত্বর, চৌরাস্তার মোড়, কুজাইল বাজার, বেতগাড়ী বাজার, খাঁনপুকুর বাজারসহ অনেক জায়গায় লোক সমাগম অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রশাসনের দুর্বল ভ’মিকাকেই দুষছেন উপজেলার সচেতন মহল। বৃহৎ স্বার্থে প্রশাসনকে আরো কঠোর ভ’মিকা পালনের পরামর্শ সচেতন মহলের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমরা সব সময় উপজেলায় ঘুরছি। জনসমাগম পেলে তা ভেঙ্গে দিচ্ছি এবং মানুষদের বোঝানোর চেস্টা করছি। এছাড়াও আবাদপুকুর হাটসহ বিভিন্ন হাট ও বাজার না বসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তারা সেটা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।