রাজা চার্লস (তখন প্রিন্স চার্লস) এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানা তার সবচেয়ে কাছের দুই বন্ধুকে যে চিঠিগুলি লিখেছিলেন, তার একটি নিলামে উঠলো। ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিঠিটির দাম উঠেছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ১৫০ পাউন্ড। সুসি এবং তারেক কাসেমকে লেখা ৩২টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত চিঠি এবং কার্ডের গোপনীয় সংগ্রহ লে’স নামক নিলামকারী সংস্থা হাতে পেয়েছে । প্রিন্সেস অফ ওয়েলসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে সুসি এবং তারেক কাসেম এই চিঠিগুলি ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করেছিলেন। এমনকি তারা তাদের সন্তান বা নাতি-নাতনিদের এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলির মালিকানা অর্পণ করতে চাননি। তাই তারা চিঠিগুলি নিলামে তোলার পর সেই অর্থ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিলাম সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছু চিঠি এমন ছিলো যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিবাহবিচ্ছেদের সময় ডায়ানা যে প্রচ- চাপের সম্মুখীন হয়েছিলেন তা চিঠিগুলি থেকেই বোঝা যায়। তবুও চরিত্রের শক্তি, উদারতা এবং প্রাণোচ্ছল স্বভাব দিয়ে সেই ব্যথা তিনি ঢেকে রাখতেন।
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালে একটি চিঠিতে প্রিন্সেস লিখেছেন, যদি আমি এক বছর আগে জানতাম যে এই বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কী তাহলে আমি কখনই সম্মতি দিতাম না। অভিজ্ঞতাটি খুব কুৎসিত।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এখানে খুব কঠিন কারণ এখানে আমার লাইন ক্রমাগত রেকর্ড করা হয় এবং সেটি পাস করা হয়।
২৮ এপ্রিল ১৯৯৬-এ আরেকটি চিঠিতে, রাজকুমারী ডায়ানা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তার দুঃখের কথা উল্লেখ করে কাসেমের সাথে অপেরা সেশন বাতিল করার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, কখনও কখনও মাথা উঁচু করে রাখা খুব কঠিন। আমি এখন কেবলমাত্র এই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য অপেক্ষা করছি, কারণ এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৬-এ একটি চিঠিতে সুসির কাছে ঘুরতে যাবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ডায়ানা। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও রাজকুমারীর বাকি জীবনটা সুখকর হয়নি। ১৯৯৭ এর ৩১ আগস্ট প্যারিসে একটি মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা।
সূত্র : এনডিটিভি