শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ছাতকের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে লিজ ছাড়াই বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ নড়াইলের কালিয়ার কৃষক কায়কোবাদ সিকদার শীতকালীন উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষে লাভের আশাবাদী কুনিয়া বড়বাড়ির হাজী আবুল হাসেম সরকার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তারাকান্দায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ধনবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ মৃৎশিল্পীদের জীবনসংগ্রাম: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে গঙ্গাচড়ায় ধামুর পূর্বপাড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ বিনা চাষে সরিষা আবাদ রিলে পদ্ধতিতে নতুন সম্ভাবনা, আগামীতে বাড়বে আরো উৎপাদন রায়গঞ্জে দেড়াগাঁতী রুদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

মাংসের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় মাছের বাজারে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

গরু ও মুরগির মাংসের দাম বাড়ায় এখন নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন মাছের বাজারে। এক সময় ছুটির দিনে আয়োজন করে মাংস রান্না করা হলেও এখন সেই ভালো খাবারের জায়গা করে নিয়েছে মাছের নানা পদের তরকারি। মাছের বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, ‘এখন মাংস কেনা হয় খুবই কম, মাছ দিয়েই আনন্দ নিয়ে খেতে হচ্ছে।’ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের মাছ কিনতে ক্রেতাদের ব্যয় করতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এছাড়া শীতের সঙ্গে সঙ্গে সবজির বাজারের স্বস্তিও চলে যাচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এলাকাভেদে দামের সামান্য তারতম্য থাকতে পারে।
বর্তমানে মাছের বাজারে কেজিপ্রতি শোল ৫০০ টাকা, বাইম ৫২০ কেজি, টেংরা ৩২০ টাকা, বোয়াল ৩৫০, শিং মাছ আকারভেদে ২৪০ থেকে ৩২০, মাঝারি চিংড়ি ৬৪০, ছোট চিংড়ি ৪২০ থেকে ৪৬০, পাবদা ৩২০, ইলিশ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০, টাকি ৩০০, পুঁটি ৩২০, রুই ২৪০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি দামের মাছের মধ্যে কেজিপ্রতি সিলভার কার্প ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বাইলা ২৪০ টাকা, কাচকি ২৪০ টাকা, সুরমা ২০০ টাকা, পোয়া দেশি ১৬০, লালা পোয়া ১২০ টাকা, নলা মিলকা ১৪০ টাকা, টাটকিনি ১২০ টাকা, ফলি ২০০, তেলাপিয়া আকারভেদে ১৬০ টাকা ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাচা পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, লাউ পিস ৬০ টাকা, ফুলকপি পিস ৩০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা ও কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। ব্রয়লার সাদা এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ২৪০ ছিল। এছাড়া ডিম ২০ টাকা কমে ডজন এখন ১২০ টাকা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখন দৈনন্দিন খাদ্য তালিকাও বদলে ফেলেছেন বলে জানান বাজার করতে আসা ক্রেতারা। মিরপুর বাউনিয়াবাধ বউবাজারে আসা সুলতানা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘গরুর গোস্ত তো এখন চিন্তাই করা যায় না। আগে শুক্রবার এলেই বাসার সবার জন্য আয়োজন করে মুরগির গোস্ত রান্না করা হতো, এখন গোস্তেরও দাম বাড়ছে। ছোট একটা মুরগি নিয়ে সবার প্লেটে দুই-চার পিস টুকরোর বদলে এখন এক পিস করে দিতে হয়। বাকিটা মাছের তরকারি দিয়ে চালিয়ে নেই। এই হলো সপ্তাহের একদিনের আয়োজন।’ মাছ নিলে যে টাকা বাঁচে তা দিয়ে অতিরিক্ত আরও একদিনের তরকারি কেনা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মাছে সুবিধা আছে। একটা মাছে দুই পোটলা করে ফ্রিজে রাখা যায়। তাতে একই মাছ দুই দিন আলাদা করে তরকারিতে দেওয়া যায়। মিরপুর-১১ এর বড় বাজারে মাছ কিনতে আসা বেনারসি কারিগর মো. আরমান বলেন, ‘এখন তো ভাই আর আগের মতো কামাই-রুজি নাই। যা পাই তা দিয়াই চলি। মাংস কিনা বন্ধ কইরা দিছি, মাছের বাজারে আহি। একটা মাছ কিনলে কয়েকদিন চালান যায়।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com