দেশের মানুষ দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে টাকা পাচার করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। দেশের মানুষ বৈষম্য ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে টাকা পাচার করছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখনো দেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা দল করে তাদের অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তাদের দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই, তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের চাঁদাবাজী থেকে ভিক্ষুকও রেহাই পায় না।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই। দেশের মানুষের ধারণা, আইন নিজের গতিতে চলতে পারছে না। ভালো মানুষ সমাজে টিকতে পারছে না। ভালো মানুষেরা সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আবেদন করেছে। সাধারণ মানুষ নিজ দেশকে নিরাপদ মনে করছে না। আইনশৃখলা রক্ষা বাহিনীকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। বৈষম্যহীন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি সমাজ গঠন হয়নি।’ এ সময় দলের মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবে না জাতীয় পার্টি।’
পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এর মধ্যেই জাতীয় পাটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।’
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের। জি এম কাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যে জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় মহিলা, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় হকার্স পার্টি, জাতীয় সিএনজি শ্রমিক পার্টি।