শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

সরকারের উদ্দেশ্য কি কুশিক্ষা দিয়ে দেশকে ধ্বংস করা, প্রশ্ন মঈন খানের

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, শিক্ষার নামে আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের অশিক্ষা ও কুশিক্ষা দিচ্ছি। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে? তাহলে এ অশিক্ষা ও কুশিক্ষা দিয়ে দেশ ধ্বংস করাই কি সরকারের উদ্দেশ্য? গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ফোরামের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কামরুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আলোচনা করেন অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল আজিজ, সাইফুর রহমান মিহির, এম জহির আলী ও নেসার আহমেদ নান্নু প্রমুখ।
মঈন খান বলেন, শিক্ষা জিনিসটা কি? অনেকে অনেকভাবে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি, আদিম সমাজে হাজার বছর আগে মানুষ যেভাবে বসবাস করতো আর আজকের সভ্য সমাজে যেভাবে বসবাস করে, এই দুয়ের মধ্যে যে ব্যবধান, তা-ই শিক্ষা। শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তিত করেছে। জঙ্গলে বসবাস করা আদিম মানুষকে আজকের সভ্য সমাজে নিয়ে এসেছে। এটাই শিক্ষার মূল কথা। কিন্তু আজ শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কিছু ঘটছে, যা মানুষকে সভ্য সমাজ থেকে আদিম সমাজে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ কোন শিক্ষা গ্রহণ করছি, আজ সরকার কোন শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করছে, সেটা প্রত্যেক নাগরিকের প্রশ্ন। শুধু শিক্ষক সমাজ বা সুধী সমাজ নয়, প্রত্যেক সাধারণ মানুষকে এ শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, তা কার প্ররোচনায় হচ্ছে? সেটা কি উদ্দেশে করা হচ্ছে। এসব আজ জানা দরকার। প্রতিটি দেশের একটা নিজস্ব চিন্তাধারা ও মানসিকতার ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি থাকে। পরিপন্থী কিছু দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া ভালো নয়। অথচ এ কাজটিই করা হচ্ছে আমাদের সাথে। বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এক হাজারটির মধ্যে আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। কিন্তু প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, আমেরিকা অর্থ এবং শিক্ষা সবক্ষেত্রেই শক্তিশালী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com