তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, চর গঙ্গামতী ও লাল কাঁকড়ার চরসহ কুয়াকাটার প্রতিটি পর্যটন স্পটে হাজারো পর্যটকদের আনাগানো। আর সৈকতের জিরো পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড়ে যেন পা ফেলার সুযোগ নেই। সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিকে (শুক্রবার ও শনিবার) কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে লক্ষাধিক পর্যটকের। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকেই পর্যটকদের আগমন ঘটতে শুরু করে কুয়াকাটায়। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়ীতে গাঁ ভাসাচ্ছেন। অনেকে আবার বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের মনোরম সৌন্দর্য।
সরকারি ছুটিতে এতো সংখ্যক পর্যটকের আগমনে বুকিং রয়েছে সব হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আগতদের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক কামাল হোসেন বলেন, বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। পরিবেশটা দারুন লাগছে। তবে এর আগেও গতবছর কুয়াকাটায় এসেছি। সেসময় সৈকতে এতো মানুষ দেখিনি। জিরো পয়েন্টে যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক রহিম সাইফুল বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে যে পর্যটন স্পটগুলো আছে বিশেষ করে লাল কাঁকড়ার চর খুবই ভালো লেগেছে। লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি এবং অল্পনা আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতলেব শরীফ বলেন, বিগত দিনের তুলনায় কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি অনেক বেশি। আমাদের সব হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বেচা কেনা অনেকটা বেড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।