জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল সকাল ১০টায় পুরুষ নির্যাতন আইন এর দাবীতে মানববন্ধন করেন। পুরুষের নিরব কান্না কেউ তো দেখেনা,ভুক্তভোগীরা জানান বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ মানষিক নির্যাতনের শিকার। সামাজিক ও লোক চক্ষুর অন্তরালে লজ্জার ভয়ে অনেক পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে লোক সমাজে প্রকাশ করতে চান না। অনেক পুরুষ লজ্জার কারনে আত্মসম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেন না। বিবাহিত অনেক পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়া বিষয়ে একমত। প্রায় সময়ই পুরুষ নির্যাতনের খবর আসে। গতকাল মানববন্ধনে নির্যাতিত বেশ কিছু পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগীরা
জানান মিথ্যা মামলায় শিকার,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মানববন্ধনে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু বেসরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করছে। ১৯ নভেম্বর ২০১৬ইং সাল থেকে বাংলাদেশ মেনস্ রাইটস ফাউন্ডেশনসহ বেশ কিছু সংস্থা পুরুষ দিবস পালন করছে। বাংলাদেশে একের পর এক পুরুষ নির্যাতন বেড়েই চলেছে। পুরুষ মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে কারণ, তারা কোন আইনী সহায়তা পাচ্ছে না তাদের জন্য নাই কোন আইনের ব্যবস্থা । পুরুষের শুধু বালিশ বিজিয়ে কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।
কিছু কিছু অসাধু নারীরা ব্ল্যাকমেইল এবং কাবিন বাণিজ্য করে বেরাছে।
মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে দেনমোহরের টাকা ও খোরপোষের টাকার বিবাহ বানিজ্য করে নিচ্ছে। এমন বহু পুরুষ আছে যারা নিরঅপরাধ
হয়েও অপরাধি সেজে বসে আছে। বুক ফাটা কান্না আর আর্থনাথ সয়সম্বল হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে বসে আছে। আমরা সকল নারীকে শ্রদ্ধা করি, কারণ নারী আমার মা নারী আমার বোন, চাচি, ফুফু, খালা। কিছু কিছু অসাধু নারীর কারনে সমাজে বৈষম্য ঘটছে। যেমন নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন থাকার পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন আইন একান্ত আব্যশক।
আমরা সকল নারীদের দোষারোপ করছি না। আমাদের সমাজেই কিছু অর্থলোভী ও অসৎচরিত্রের নারীর কারনে পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মিডিয়ার কারনে আমরা জানতে পারি। নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকলেও পুরুষের জন্য নাই কোন আইন। তাই দেশে পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ করা দরকার। তাই দেশে প্রচালিত আইনে নারী ও শিশু নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন আইন হওয়া একান্ত জরুরী। তাই জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন (প্রস্তাবিত) এর আয়োজনে গতকাল ২৪-০২-২০২৩ ইং রোজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবিলম্বে পুরুষ নির্যাতন আইন এর দাবীতে মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন (প্রস্তাবিত) এর প্রধান উপদেষ্টা মো: ইলিয়াসুর রহমান, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশ, একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থা।? জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডশন, (প্রস্তাবিত)
উপদেষ্টা : সন্ধিতা রাণী পাল, এডভোকেট, জজ কোর্ট, ঢাকা, সাধারন সম্পাদক,মোঃ বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থা, সভাপতি মোঃ ইয়াছিন, সিনিয়ার সহসভাপতি হৃদয় ইসলাম চুন্নু সাধারণত সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান,মোঃ মাসুদ আহম্মেদ,মোঃ দুলাল হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ কামরুল ইসলাম,মোঃ নাজমুল ইসলাম, কাজী নূর ইসলাম,নুসরাত জাহান মীম,মোঃ রাজু আহম্মেদ,মোঃ আব্দুল মান্না,তন্ময় পাল,মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নূর হোসেন, আব্দুল রব ফরাজী, মোঃ শাহিন খন্দকার, মো: রুহুলআমিন সদ্দার,মোঃ আব্দুল লতিফ, রুবেল মোল্লা ও অন্যান্য সদস্যগণ।