বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। এরপর শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গতকাল শনিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ারভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিরুল ইসলাম খান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বজনরা নারকীয় সেই হত্যাকা-ের বিচার কার্যকরের দাবি জানান। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলায় ৮৪৬ জনকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। আর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং দুই শ’ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন হাইকোর্ট। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিল শুনানি শুরু না হওয়ায় হত্যা মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি আজও।