সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার আগেরদিন থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময় পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পিড স্লো রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ই মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাকে ঘিরে আমরা সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।
গতকাল সোমবার দুপুরে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা উপলক্ষে প্রতিটি ভেন্যুকেই আমরা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখবো। যাতে সেখানে কোনো ব্যক্তি না ঢুকতে পারে এবং কোনোরকমের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। পরীক্ষার আগেরদিন আমাদের ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়ার অনুরোধ আমরা রাখব। পাশাপাশি যেসব কোচিং সেন্টার আছে, সেগুলো বন্ধ করার জন্য একটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে যেসব ফটোকপি মেশিন আছে, সেগুলো যাতে চালু না থাকে এমনকি নতুন করে কেউ স্থাপন না করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। সার্বিকভাবে বিগত দিনে যেভাবে আমরা পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি, এবছরও তাই করা হবে। আমাদের যারা পরীক্ষা নেবেন এবং প্রশ্ন তৈরি করবেন, এগুলো খুবই গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজটি করা হবে এবং একটি বিশেষ টিম থাকবে, যারা এজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাদের মাধ্যমেই এই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই ভর্তির আগে আমরা একটি প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সবাইকে নিয়ে আমরা আলোচনা করে থাকি।
আমাদের স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সেবা বিভাগের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে থাকেন। এবছর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, এবছর এমবিবিএস আসন সংখ্যা আছে সরকারি ৪ হাজার ৩৫০টি। বেসরকারি আসন ৬ হাজার ৭৭২টি। মোট ১১ হাজার ১২২টি আসন। বিডিএসের জন্য সরকারি আসন ৫৪৫টি, বেসরকারি ১ হাজার ৪০৫টি। মোট ১ হাজার ৯৫০টি। এমবিবিএস এবং বিডিএস মিলিয়ে সর্বমোট সিট ১৩ হাজার ৭২টি। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ১৯টি ও ৫৬টি ভেন্যু রয়েছে।