চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) দেশের পোশাক রপ্তানি ১৫.০৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি আগের বছর একই সময়ের তুলনায় কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৩.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ১১.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে ৪.৯৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫.০৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৯৮ শতাংশ কমেছে। এ সময় পোল্যান্ডে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে।
এদিকে, জার্মানি ইউরোপের বৃহত্তম বাজার। জার্মানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের সাত মাসে মাত্র ০.৮৩ শতাংশ রপ্তানি বাড়িয়েছে। চলতি বছরের সাত মাসে ইউরোপিয় ইউনিয়নে স্পেন এবং ফ্রান্সের রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৮.১৮ শতাংশ এবং ১৮.৭৪ শতাংশ। অন্যান্য প্রধান ইইউ দেশ যেমন ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রপ্তানি যথাক্রমে ৫৭.৫০ শতাংশ, ৩২.৯৩ শতাংশ, ৩২.৪১ শতাংশ এবং ২৩.২৮ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১৪.৪৭ শতাংশ এবং ১৯.২৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি একই সময়ের ৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ৯২০.২৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা চলতি অর্থবছরের সাত মাসে ৪৫.৯২ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছর একই সময়ে জাপানে ৬৩০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ৯২.৭৭ শতাংশ, মেক্সিকো ৪২.৭০ শতাংশ, ভারত ৫৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৬৪.১৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৭.৩৯ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।