আমার সম্পর্কে মিডিয়ায় যা আসে, সবই গুজব: সাকিব
ইংল্যান্ডের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সাথে সিরিজ চলছে। প্রথম ম্যাচে দল সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছে। রাত পোহালে দ্বিতীয় ওয়ানডে। আর দলের প্রধান চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসান গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে এক ফ্যাশন হাউজের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত! কে তাকে অনুমতি দিল? তিনি কার অনুমতি নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গেছেন? এবং আদৌ কোনো অনুমতি নিয়েছেন কিনা? তা জানানোরও কেউ নেই।
তবে এটুকু জানা গেছে, যদিও উপলক্ষ টিম বাংলাদেশ এবং তামিম বাহিনীকে উৎসাহ জোগাতে অনুপ্রাণিত করতেই হোটেল সোনারগাঁয়ে জাতীয় দলের টিম হোটেলে গিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হসান পাপন। এবং তার নিজের মুখের স্বীকারোক্তি, সাকিব আল হাসানের সাথে দেখা করতে ও কথা বলতেই আজ রাতে বাংলাদেশের টিম হোটেল সোনারগাঁ প্যানপ্যাসিফিকে গিয়েছিলেন পাপন। যেহেতু মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের আগের রাতে সাকিব টিম হোটেলে ছিলেন না, অপো মোবাইলের এক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন, তাই দেখা হয়নি, গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে বোর্ড সভাপতিকে টিম হোটেলে আসার আমন্ত্রণটা সাকিবই জানিয়েছিলেন।
কিন্তু আজও সে সময় সাকিব টিম হোটেলে ছিলেন না। বিসিবি বিগ বস যখন হোটেল সোনারগাঁয়ে দলের সাথে দেখা করতে গেছেন, ঠিক সেই সময় সাকিব ব্যস্ত ‘ব্লুচি’ নামের এক ফ্যাশন হাউজের প্রোগ্রামে।
সেখানে অনেক কথার ভিড়ে সাকিব একটি মন্তব্য করেছেন।
তাহলো, তাকে নিয়ে যত কথা হয় মিডিয়ায় সবই গুজব। সাকিবের নিজের কথা, ‘আমার সম্পর্কে মিডিয়াতে যা আসে তার সবই গুজব। এবং হাস্যকর।’
সাকিবের সম্পর্কে মিডিয়ায় যত খবর আসে, তার সবই যদি সত্যি গুজব হয়, তাহলে শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ইংল্যান্ডের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচের আগের রাতেও তিনি যে একটা ফ্যাশন হাউজের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটালেন, সেটাও কি গুজব? তিনি কি তবে সশরীরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধমে এমনি তার ভিডিও এবং অডিও চলে এসেছে?
তার মানে সাকিব বোঝাতে চাইলেন, তার সম্পর্কে যত কথাবার্তা মিডিয়ায় লিখা হয় সবই বানোয়াট। গুজব।
কথা শুনে মনে হচ্ছে, মিডিয়ারই যত দোষ।
এ যেন সেই ‘যত দোষ নন্দঘোষ।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সাকিব ও তামিম ইস্যুতে মিডিয়াকে দুষেছেন।
এবার আর সাকিব আল হাসান সরাসরি দায় চাপালেন প্রচার মাধ্যমের ওপর। ব্যাপারটা এক তরফা হয়ে গেল না? যারা একটি সিরিজ চলাকালীন এবং ম্যাচের আগের রাতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যা খুশি করে বেড়ান, তাদের কথা লেখাও যাবে না? সেটাকে গুজব বলে চিহ্নিত করা হবে? এটা কি রামরাজত্ব? নাকি তুঘলকি কাণ্ড?