দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আসেনি ভারতীয় পেঁয়াজ। সীমান্তের পাইপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ২৫০ থেকে ৩০০ গাড়ি পেঁয়াজ আজ নষ্টের দিকে। এলসি করা পেঁয়াজ না আসলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানিয়েছে আমদানি কারকরা। অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে ভারত সরকার। পূর্ব ঘোষনা না দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা। গত বুধবার এলসি করা পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার ও বন্দরে প্রবেশ করেনি। গত সোমবার থেকে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে আটকা পড়ে আছে এলসি করা ২৫০-৩০০ পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক। এছাড়া আমদানির জন্য এলসি করা প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমদানিকারকেরা। এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বন্দরে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। গত রোববার এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় পাইকারী বাজারে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকারদের অভিযোগ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির আশায় অনেক আড়তদার তাদের আড়ত বন্ধ রেখেছেন। অনেক পাইকার পেঁয়াজ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, শুধুমাত্র হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা ১০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি জন্য ভারতে এলসি করেছেন। যার বিপরীতে ২৫০-৩০০ ভারতীয় ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে ভারতে আটকা পড়েছে। এসব পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে না পারলে পেঁয়াজে পচন ধরে নষ্ট হবে। লোকসান গুনতে হবে তাদের। কিন্তু হঠাৎ করেই ভারত সরকার বন্যার কারণ দেখিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই আমাদের এলসি করা পেঁয়াজগুলি দেশে পাঠানো হউক।