ভারতে হিজাব ইস্যুতে করা মামলার আবেদনগুলোর জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
যে আবেদনগুলোর শুনানি আপৎকালীন ভিত্তিতে করার আবেদন ছিল, সেখানে কর্নাটক সরকারের তরফে জারি করা এক নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। মামলায় আবেদন ছিল, যাতে কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হয়। সে আবেদনসাপেক্ষে একগুচ্ছ মামলার আবেদনের জরুরিকালীন শুনানির আবেদনকে শুক্রবার খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।শরিয়ত কমিটির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল মামলাটি। সেই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি এগুলোর (মামলাগুলো) তালিকা করব হোলির ছুটির পর। আমি একটি বেঞ্চ গঠন করব।’ উল্লেখ্য, ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে সুপ্রিম কোর্টের হোলি উৎসবের ছুটি। এদিকে, কর্নাটকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৯ মার্চ থেকে। সেই পরীক্ষা চলাকালীন যাতে হিজাব পরা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে কর্নাটক সরকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়, তার আবেদন জানানো হয়েছিল।
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, গত দুই মাসে দুই বার এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। যার প্রত্যুত্তরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমি কি করতে পারি, আমি যদি শেষ দিনে আসি?’ এরপর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘তাহলে পরীক্ষা নিয়ে কী বলবেন?’ উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’ এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি এই বিষয়ে খুব শিগগিরই একটি তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করবেন। সেই সময় উঠেছিল এই হিজাব প্রসঙ্গে আগের একটি মামলার কথা। যে মামলার রায় ২০২২ সালের অক্টোবরে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ ছিল। আর দুই বিচারপতি একে অপরের থেকে পৃথক রায় দিয়েছিলেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীর করা সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায় আসে। তাই ফের আবেদন যায় সুপ্রিম কোর্টে। তখনই দেশের শীর্ষ আদালত নতুন তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠনের কথা বলে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস