করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নানা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এবার আবার সারা বিশ্ব থেকে মুসলিমরা ব্যাপকভাবে হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ বছর মোট ১০ লাখ মানুষ হজ করতে পারবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায় সব দেশেই তুলনামূলকভাবে হজের খরচ বেড়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। আর বেসরকারি হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
গত বছর দেশে সরকারিভাবে হজে যাওয়ার খরচ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজের খরচ ছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা। অর্থাৎ, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে হজের খরচ দেড় লাখ থেকে প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে এ বছর হজে যাওয়ার জন্য খরচ হবে ৩ হাজার ৩০০ ডলার বা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৭ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। বাকিটা সরকারি ‘হজ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ তহবিল থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে।
মালয়েশিয়ায় হজের জন্য সরকার বড় অংকের ভর্তুকি দিয়ে থাকে। সেখানে যেসব পরিবারের মাসিক আয় ৯৬ হাজার টাকার কম, সেসব পরিবারের সদস্যদের জন্য এ বছর সরকারিভাবে হজের খরচ ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা। মাসিক আয় এর বেশি হলে দিতে হবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা। তবে দেশটিতে বেসরকারি হজ প্যাকেজগুলো বাংলাদেশি মুদ্রায় নয় লাখ টাকা থেকে শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানে গত বছরের তুলনায় হজের খরচ বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশটিতে এ বছর হজযাত্রীদের খরচ ১১ লাখ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রূপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে হজের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হলেও চূড়ান্ত খরচের হিসাব এখনো জানানো হয়নি। তবে ২০২১ সালে এই খরচ ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৭১ টাকা। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর হজ প্যাকেজের খরচ ৫০ হাজার টাকা কমানো হবে। অর্থাৎ হজ কমিটি অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যারা হজে যাবেন, তাদের খরচ হবে চার লাখ টাকার কম।
সিঙ্গাপুরে গত বছরের তুলনায় হজের খরচ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার ডলার। সেখানে সবচেয়ে কম প্যাকেজের জন্য দিতে হবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা। সূত্র: বিবিসি বাংলা