জেলায় ভুট্টার আবাদ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহজ চাষ পদ্ধতি, পোকার আক্রমণ রোগ বালাই কম হওয়া, কম সেচ, বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় এই চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বর্তমানে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই এখন সবুজের সমারোহ। মাঠ জুড়ে ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভুট্টার সবুজ পাতা। এবার অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি বিভাগ জানান- চলতি মৌসুমে ৫৭৮ হেক্টর জমিতে এবার ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৪৬০ হেক্টর জমিতে। তবে ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার কৃষকদের সার, বীজ ও টাকাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
স্থানীয় কৃষকরা জানালেন ভুট্রা চাষে তাদের আগ্রহের কথা। কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে কৃষি অফিসের পরামর্শে ভুট্টা চাষ করছেন। এই মৌসুমে তিনি বাড়ি সংলগ্ন ১০ বিঘা জমি ভুট্টা আবাদ করেন। এই চাষ করতে সরকার থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য সব উপকরণ পেয়েছেন। ভুট্টা আবাদ করতে প্রতি বিঘায় পানি, জমি প্রস্তুত, লাগানোসহ তার ৮ হাজার টাকা তার খরচ হয়। প্রতিটি জমিতেই এখন ফুল এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই মোটা হয়ে যাবে। বর্তমানে জমিতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, বোরো ধানের চেয়ে ভুট্টায় লাভ বেশি। তাই তিনি ভুট্টা চাষ করছেন। ভুট্টার কোনো কিছুই ফেলে দেয়া হয় না। এর পাতা গরুকে খাওয়ানো হয়, তাছাড়া ডাটা ও মোচা লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন, ভুট্টা চাষ করতে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের ভুট্টার বীজ ও সার বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। যাতে এবার ভুট্টার ফলন ভাল হয়, তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।