রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’-২০২৩-উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি হামিদ বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং এর পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পত্মী রাশিদা খানম তাঁর পুত্র রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্যান্য বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গনে রাখা দর্শনার্থী বাইয়েও স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ সমাধি প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান। এরআগে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সড়ক পথে সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। বেশ কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে সারাদেশে পালিত হয়ে আসছে।
১৯২০ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন মহকুমা এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।