গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার ১নং রসুলপুর ইউনিয়নে অধিকাংশ রাস্তাগুলো কাঁচা হওয়ার কারনে রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। এমনকি ইউনিয়নের বেশ কিছু রাস্তা দেখে বুঝার উপায় নেই কোনটা পাকা-কোনটা কাঁচা রাস্তা। আর এই কারণে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ঐ সকল রাস্তাগুলো। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ১নং রসুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তাগুলো কাঁচা। এমনকি রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ফলে এ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে যোগাযোগের মাধ্যম ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য, সাদুল্লাপুর উপজেলার ১নং রসুলপুর ইউনিয়ন এলাকাধীন ৬নং ওয়ার্ডের বসনুবের বাজার থেকে ছান্দিয়াপুর বাজার পযন্ত, ১নং ওয়ার্ডে মকবুল সরকার বাড়ি হতে জুলতপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তায় জলাবদ্ধতা এবং ৩নং ওয়ার্ডের মিয়াবাড়ি গ্রামে যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই সকল রাস্তাগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা না থাকায় বছরের পর বছর মানবেতর জীবন যাপন করছে এইসব এলাকার মানুষজন। পথচারী বাবলু মিয়া বলেন, ইউনিয়ন এর রাস্তা গুলো কাঁচা ও ভাঙ্গা তাই গাড়ি যেতে চায়না, গেলেও কখনো কখনো ভাড়া দিগুণ বা তারও বেশি দিতে হয়। এমন কি “কোনো গর্ভবতী নারীকে এই সড়ক দিয়ে মেডিকেলে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বিপদ নেমে আসবে নিশ্চিত” তাই অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রসুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন শুকনা মৌসুমে ধুলা বালির কারনে যেমন জনজীবন বিপযস্ত হয়, ঠিক তেমনি ভাবে বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারনে কাদার সৃষ্টি হয়, এর ফলে পথচারিদের ব্যাপক পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই জন্য আপনাদের মাধ্যমে রসুলপুর ইউনিয়ন বাসীর পক্ষে অতি সওর রাস্তাগুলো পাকা করনের জন্য কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছি।