৩৩৯ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালোই করেছিল আয়ারল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে দুই আইরিশ ওপেনার ১০ ওভারে তুলেছিল ৬০ রান। এই সময়ে নতুন বলে প্রথম স্পেলে ৩ ওভার করে সরে গিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিলেন ডানহাতি গতিময় পেসার। বোল্ড করে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে।
তাসকিনের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন আইরিশ অধিনায়ক। তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে মিডল স্টাম্পে আঘাত হানে বল। এই ওভার থেকে কোনো রান দেননি তাসকিন। পরের ওভারে তাসকিন ফেরান টাকারকে। স্লিপে টাকারকে ইয়াসির আলী রাব্বির দারুন এক ক্যাচে পরিনত করেন তাসকিন। তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর ৭৬ রানে পাঁচ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
সাকিবের পর এবাদতের দুই শিকার
আইরিশদের দারুণ শুরু মুহূর্তেই বদলে যায় সাকিব ৬০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলে। তাদের ওপর চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। তার বলে দারুণ এক ক্যাচে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন আরেক ওপেনার পল স্টার্লিং। পুল করতে গিয়ে পরাস্ত হয়েছেন। তাতে ৩১ বলে ২২ রানেই তাকে থামতে হয়েছে। স্টার্লিংয়ের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়। এক ওভার বিরতি দিয়ে আবারও উইকেট পড়ে এবাদতের দারুণ বোলিংয়ে। তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ৩ রানে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন হ্যারি টেক্টর।
৬০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন সাকিব
শুরুতে পেসারদের সামনে সংগ্রাম করলেও স্পিনার পেয়ে হাত খুলতে থাকেন স্টার্লিং, ডোহানি। শ্লথ গতির শুরুর পর দুই ওপেনারের ব্যাটে ১১ ওভারেই ৬০ রান যোগ হয়েছে। ১২তম ওভারে অবশেষে জুটি ভাঙেন সাকিব। তার ঘূর্ণি বলে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন ডোহানি। ফেরার আগে তিনি ৩৮ বলে ৩৪ রান করেছেন। তাতে ছিল ৪টি চার ও ১ ছয়।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন স্টার্লিং
দারুণ ব্যাটিংয়ের পর শুরু থেকে আইরিশদের ওপর চাপ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের পেস আক্রমণ সামলাতে সফরকারী দল হিমশিম খেতে থাকে। তাতে রান যোগ হয় শ্লথ গতিতে। তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের শেষ বলে বাংলাদেশ লেগ বিফোরের আবেদন করেছিল। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন স্টার্লিং।