বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু মামিজা রহমান রায়ার ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে ভিডিও কলে কথা বলবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সত্যি সত্যিই তাকে ভিডিওকল করবেন, এবং কথাও বলবেন, এমনটা কখনই ভাবেনি রায়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গে গল্প করেছেন। শুনেছেন রায়ার কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি। বেশ কিছু সময় ধরে গল্পও শুনেছেন রায়ার থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন রায়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কলের সে ছবি ভাইরাল। অনেকটা বিস্ময় নিয়েই রায়ার মা নাবিহা রহমান পিংকী বলছিলেন, এটা তাদের কাছে খুবই অবিশ্বাস্য রকমের ভালো লাগা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি শিশুর ইচ্ছে পূরণে একজন সরকারপ্রধানের এমন ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রায়ার মা। তিনি বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আচরণে তার মনে হয়েছে তার মা কিংবা ফুপির সঙ্গে কথা বলছেন। একজন সরকার প্রধান এতো আপনভাবে কথা বলতে পারেন, এটা তার কাছে অবিশ্বাস্য।
তিনি জানান, রায়া ভিডিও কলে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে শুনিয়েছে। রায়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মিলিয়েছেন। এছাড়া রায়া প্রধানমন্ত্রীকে একটি কবিতা আবৃত্তি করেও শুনিয়েছে।
জানা গেছে, একদিন আগে রায়ার স্কুল শিক্ষক হাসিনা হাফিজ রায়া প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলতে চান এমন বার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও পোস্ট করেন অটিজম ম্যানেজমেন্ট সেন্টার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে। সেখানে রায়া বলেন, সে প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসে ও তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর হাসি তার সব থেকে প্রিয় এ কথাও জানায় রায়া। ভিডিওতে শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজকে বলতে দেখা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রায়াকে প্রধানমন্ত্রীর একটি করে ছবি ইনবক্স করেন। প্রধানমন্ত্রী তার দাপ্তরিক ব্যস্ততার কোনো এক ফাঁকে রায়ার ইচ্ছে পূরণ করবেন বলেও শিক্ষক হিসেবে আবেদন করেন তিনি।
এই ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছানোর পর একদিনের মাথায় রায়াকে ভিডিও কলে ফোন দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এ শিশুর ইচ্ছে পূরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।