বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে

আইটি ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কাগজের মুদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন করপোরেশন হলে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ‘নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নিয়োগদাতাদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী এসময় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট এবং টাকা পাঠানোর খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে এনে গ্রাহকস্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসরকারি সংস্থা নারী মৈত্রির কর্মকর্তা শাহীন আক্তার জলি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। ডিজিটাল কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের ফলে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস হওয়ায় এমএফএস এর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে বাংলাদেশ দ্রুত ধাবিত হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেটের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবা প্রদানের অনুমতি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ছিল মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস এবং ব্যবহারকারী ছিলেন মাত্র মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ৪ হাজার ১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০৩০ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের চাহিদা ৩০ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করতে পারে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের নিকট স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তোলা। মন্ত্রী নারী গৃহকর্মীদের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রচলন করায় বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা সংক্রান্ত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তাদের সহযোগী ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে একটি ভালো উদ্যোগ। ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সঙ্গে চালাতে পারলে তারা নিজেদের উদ্যোক্তায় রূপান্তর করতে পারবেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সরকার কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট মানুষ। তিনি নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আগামী দিনের উপযোগী স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এমএফএস এর অব্যাহত অগ্রগতি ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিস্ময়কর। দেশের জন্যে এটি একটি দৃষ্টান্ত। আমাদের এ অবস্থান আগামী দিনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতের অগ্রগতিতে আমরা কাজ করছি এবং যে কোনো সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি গৃহকর্মীদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ভিত্তিতে তাদের জন্য মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিশেষ সুবিধার বিষয়ে কাজ করা সহজ হবে।এসময় শাহীন আনাম ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নিয়োগকর্তা ও গৃহকর্মীদের উৎসাহিত করতে গৃহীত কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। রোকসানা সুলতানা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের বেতন পরিশোধ তাদের কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের অর্জিত আয় নিরাপদ করবে। নাহিদ সুলতানা মল্লিক গৃহকর্মীদের ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষ অপরিহার্য। অনুষ্ঠানে গৃহকর্মী এবং তাদের নিয়োগ প্রদানকারী গৃহকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com