বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

ঢাকায় সবজির দাম পাইকারির চেয়ে খুচরায় দ্বিগুণ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

গত রমজান থেকে এবার দেশে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এরমধ্যে রোজায় সাধারণত যে সবজির চাহিদা থাকে তাও হাতের নাগালে নেই ভোক্তাদের। দেখা গেছে, এই সবজিগুলো পাইকারি থেকে খুচরায় এলেই দেড় থেকে দ্বিগুণ দাম বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার কারওয়ান বাজার এবং হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকার কলমিলতা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
এরমধ্যে কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, গোল বেগুণ ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুণ ৬০-৭০ টাকা, ছোট লেবু প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা ও ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছিলো।
কিন্তু খুচরা বাজারে এসেই এসব সবজির দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণ। হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও কলমিলতা বাজারে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার খুচরায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা, গোল বেগুণ ৬০-৮০ টাকা, লম্বা বেগুণ ৮০-১০০ টাকা, ছোট লেবু প্রতি হালি ৪০-৪৫ টাকা ও ধনেপাতা প্রতি কেজি ১২০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিলো। একই অবস্থা কারওয়ান বাজারেও রয়েছে। সেখানে পাইকারি আড়ত থেকে ১০-২০ মিটার দূরে খুচরা সবজির বাজার। এই দূরত্বে পরিবহন খরচ নেই বললেই চলে। তবে সেখানেও সবজির দাম কেজিতে বেড়ে যায় ১০-২০ টাকা।
এদিকে কারওয়ান বাজারে যখন রাতে সবজিগুলো আসে তখন আড়তে আরও কমদামে কেনাবেচা চলে। তিন স্তরের এসব বাজারের তফাৎ শুধু একটাই। তা হলো, পাইকারি বাজার থেকে সর্বনিম্ন পাঁচ কেজি কিনতে হবে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে নিজের চাহিদামতো কেনা যায়।
রমজানে সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে বেগুনের। কারণ এ সবজি দিয়ে তৈরি হয় বেগুনি। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি পাঁচ কেজি হিসাবে নিলে কেজিপ্রতি গোল বেগুনের দাম ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। অথচ খুচরার কোথাও বেগুনের দাম ৬০ টাকার নিচে নেই।
সবজির দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে কলমিলতা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আসাদুল্লা বলেন, দোকানের ভাড়া, পরিবহন খরচ আছে। আমরা ২-৩ জন লোক কাজ করি। মূলধন খাটাতে হয়। তাই এইটুকু মুনাফা করতেই হয়।
তিনি আরও বলেন, পাইকারি থেকে খুচরায় পণ্যের ঘাটতি রয়েছে। বেছে বেছে অনেক খারাপ পণ্য আলাদা করে কম দামে বিক্রি করতে হয়। সেটা কিন্তু হিসাবে নিতে হবে।
আসাদুল্লা বলেন, আড়তদারিতেই আমাদের কেজিতে তিন থেকে চার টাকা খরচ পড়ে যায়। এরপর কাঁচা পণ্য ১০ শতাংশ নষ্ট হিসেবে ধরতে হয়। আবার অনেক মাল (সবজি) বেচাই হয় না। সেগুলো দিতে হয় ফেলে।
এই ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবাই সীমিত লাভ রেখে বিক্রি করে। আমাদের জায়গায় এসে দেখেন। লোকসান দিয়ে অনেক দোকান বন্ধ হয়ে গেছে গত কয়েক মাসে।
হাতিরপুলের আরেক খুচরা সবজি ব্যবসায়ী কুদ্দুস মিয়া বলেন, বাইর থেকে যতটা লাভ দেখা যায়, আসলে ততটা হয় না। দোকান ভাড়া এখন বেড়েছে। ১০ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না কর্মচারী। অদৃশ্য কিছু খরচ আছে, সেটা সবাই জানে। হিজরাও পর্যন্ত এসে চাঁদা নেয়।
এদিকে পাইকারি সবজি বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, সবজির বাজার প্রতিনিয়তই উঠানামা করে। বিভিন্ন কারণে স্থানভেদে তারতম্য দেখা যায় সবজির দামে। এই সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা বেশি দাম নেয়। এ প্রবণতা তাদের বেশি।
তিনি বলেন, আড়ত থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত কয়েক হাত ঘুরে সবজি বেচাকেনার কারণে পাইকারি ও খুচরাপর্যায়ে দামের অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে। আবার উপলক্ষ্য পেলে নানা ছুতায় বাড়ানো হয় সবজির দাম। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোক্তারা। দাম কম পান উৎপাদকরা, লাভবান হন মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com