জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সাহিত্য-সঙ্গীত তথা বাংলা সংস্কৃতির অনন্য সাহিত্যস্রষ্টা। তিনি প্রেমের কবি, সাম্যের কবি ও বিদ্রোহের কবি। শুধু কবিই নন, তার লেখনী ধূমকেতুর মতো আঘাত হেনে আমাদের জাগিয়ে তুলেছিল বারবার। রণাঙ্গন, রঙ্গালয়, কারাগার, চলচ্চিত্র, নাটক, রেডিও, মঞ্চ, কবিতা এমনকি সাংবাদিকতাসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রায় সব শাখায় বিরল কালোত্তীর্ণ এক নাবিকের নাম নজরুল। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “ ঈদুল ফিতর” নাটকটির শুটিং হচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পৌর শহরে প্রাণ কেন্দ্রে জমিদার বাড়িতে। নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন আবুল হায়াত নাটক টি পরিচালনা করছেন প্রখ্যাত পরিচালক, মাসুদ চৌধুরী নাটকটির পরিবেশন করছেন “বাঁশরীর লেটু” দল। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আজাত আবুল কালাম, শতাব্দিওয়াদুদ, শফিক খান দিলু, দীপা খন্দকার, তারিকুজ্জামান তপন, তিশা, সুস্ময় সাহা, বিমল ব্যানার্জি, জহিরুল ইসলাম মিলন আরো অনেকে। নাটকটি প্রচারিত হবে ঈদুল ফেতর এর আগের দিন রাত ৮ টা সংবাদের পর (অঞঘ) এটিএন বাংলায়। যেমন ঈদ নিয়ে প্রথম গান লিখেছেন, তেমনি তিনি ঈদ নিয়ে লিখেছেন প্রথম নাটকও। এই নাটকটির নাম ‘ঈদুল ফেতর’। ঘটনাটি সম্ভবত: মুসলিম বিশ্বের মধ্যেও প্রথম। এটি প্রথম রেকর্ড-নাট্যও। ‘ঈদুল ফেতর’ রেকর্ড-নাট্য ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয় রেকর্ড নং এন ৯৮২৩-৯৮২৪)। নাটিকার কুশীল হচ্ছে ফকির জমিদার, ইমতাজ, বদনার মা ও পথচারী। নজরুল এই নাটিকায় একজন তথাকথিত নামাজী ও রোজাদারের কৃপণতা, ফকিরের প্রতি দুর্ব্যবহার, পরিণামে একমাত্র পুত্রের নিখোঁজ হওয়া এবং পরে ফকিরের কল্যাণে ঈদুল ফেতরের দিন সকালে হারানো পুত্রের।