ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়া ঝিনাইদহ টু যশোর মহাসড়কের ছালাভরা থেকে বারোবাজার মান্দারতলা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। প্রতিদিন ব্যস্ততম এ মহাসড়কে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছে যাত্রী ও মালবাহী ছোটো বড়ো হাজারো যানবাহন। কালীগঞ্জ এলাকার মহাসড়ক অংশে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে করে হতাহতের সংখ্যা নেহাত কম নয়।মহাসড়ককে নিরাপদ রাখার দায?িত্ব কালিগঞ্জ সড়ক বিভাগের থাকলেও তাদের যথাযথ দাডছত্ব পালনের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন স্থানে ছোটো বড় অসংখ্য ঢালু গর্ত কোথাও কোথাও ফোলা অবস্থা রয়েছে।যেগুলো সড়ক বিভাগের লোকজন মাঝে মধ্যে যতসামান্য ঠিক করলেও তা ব্যবহার উপযোগী হয়না। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ২৮ মার্চ সকাল ৬ টায় মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সাথে মাছবোঝাই পিকআপের সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেসময় আহত হয়েছে ভ্যানের দুই যাত্রী। নিহতরা হল, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ছাবদার আলীর ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগম। এ ঘটনায় আহত তাদের মেয়ে সাথী খাতুন, ভ্যানের চালক করিম ও অপর এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এই দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাস্থলে বড় ধরনের গর্ত ও উঁচু নিচু রাস্তা সংস্কার করতে কালীগঞ্জ সড়ক বিভাগকে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে দেখা যায়। ২৪ মার্চ যশোর মহাসড়কে কেয়াবাগান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মিজান(৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। এ সময় আহত হয় অন্তত ২০ যাত্রী।প্রতিনিয়ত এভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে মহাসড়কে। স্থানীয় জনগনের মনে তাই প্রশ্ন উঠেছে দুর্ঘটনায় মহাসড়কে প্রাণ না ঝরলে কি তাদের ঘুম ভাংগে না?মহাসড়কে রাস্তার দুই ধারে এরূপ অবস্থার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়লেও সড়ক বিভাগ তা দেখেও দেখে না। কালিগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শ্রী তুষার কান্তি প্রামাণিক জানান, প্রতিনিয়তই আমার এরিয়ার মধ্যে আমারা মহাসড়ক সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। ১৫ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার রাস্তা বেশি খারাপ। খারাপ স্থানগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা হচ্ছে।বাকি রাস্তার কাজও দ্রুত শেষ হবে। বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান,রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে বেশি। এ কারণে আমরা টহলও বাড়িয়েছি।শুধু থ্রি হুইলার যানই নয় ভাঙ্গাচোরা উঁচু-নিচু গর্তযুক্ত মহাসড়কের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে।