আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালটে। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের ১৭তম সভা শেষে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় আরও পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। এসব সিটি করপোরেশন হলো, গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, রাজশাহী ও সিলেটে ২১ জুন, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ মার্চ থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই সিটির ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয় ২০১৮ সালের ২৭ জুন।
ভোটকেন্দ্রে ইভিএম নয় সিসিটিভি প্রয়োজন: ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার উদ্যোগ বাদ দিয়ে এই খাতের চার হাজার কোটি টাকা দিয়ে আগামী নির্বাচনে ৪৪ হাজার ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ব্যালেট পেপার জালিয়াতি রোধে সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজেদের জন্য অত্যাধুনিক প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন করুন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। ভোট গ্রহণকালীন কর্মকর্তাদের সম্মানী ও ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা করুন। ভোটগ্রহণকালে ছবি ও ভিডিও ধারণের জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাচনী অফিসে সিসিটিভি সরবরাহ করুন। ২০১৮ সালের বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানিয়েছিলেন।
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ করেছিলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞগণের মতামতকে উপেক্ষা করে এবং দেশের অধিকাংশ আইটি বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শকে তোয়াক্কা না করে সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম/ডিভিএম ব্যবহার করার জন্য তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধন করার অপকৌশল গ্রহণ করেছে।
‘হঠাৎ করে কী ঘটল? কার নির্দেশে এবং কাকে বিজয়ী করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসি গোপনে এই বিতর্কিত ও সারাবিশ্বে পরিত্যক্ত ইভিএম যন্ত্র কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেলেন? এই বিতর্তিক যন্ত্র কেনার জন্য ব্যয়িত অর্থ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায় হিসেবে গণ্য হবে। এই অপকর্মের দায়ভার সম্পূর্ণ ইসিকেই বহন করতে হবে। ইসির প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাকে আর ঘনীভূত করবেন না। এ ডিজিটাল কারচুপির পথ থেকে সরে আসুন। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ব্যক্তিগত এই তৎপরতার মূল্য দিতে হবে।’ ইভিএম পদ্ধতি বন্ধ করা না হলে দেশে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ইসিকে দায়ভার নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। এবার অবস্থা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।