গাজীপুরের কালীগঞ্জে মতিউর রহমান খন নামের এক গরু খামারীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও হাত মুখ বেধে গোয়াল ঘর থেকে ৬ টি দামী গাভী গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্ররা বলে হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত তাজুল ইসলাম খানের বাড়িতে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেল) উকিং মে বলেন, খবর পেয়ে সকালে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। খামারে থাকা সিসিটিভির ফোটেজ দেখে ও ভুক্তভোগীর চুরি হওয়া ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামী সনাক্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন-ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামী সনাক্তের চেস্টা চলছে। মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় খামারী মতিউর রহমান খান গোয়াল ঘরে গরুর খাবার দিয়ে ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ঘরের পিছন দিক থেকে ১০-১৫ জনের একটি দল হাটাৎ করে এসে বারান্দায় বসে থাকা খামারিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার হাত মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তাকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ির দক্ষিণপার্শে আম গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সময় মতিউর রহমানের খামারে থাকা ৩ টি গাভী যার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ও তার ভাতিজা ইউপি সদস্য ফারুক খানের খামারে থাকা আরো সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের তিনটি গাভী গরু নিয়ে যায় ওই চোরচক্ররা। পরে রাত আড়াইটার দিকে গাছে বাঁধা খামারীর কান্নার শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে আম গাছের সাথে হাত মুখ বাঁধা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডেকিল কলেজ হাসপালে নিয়ে যায়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা। যার ফলে নিঃস্ব হয়ে মনবেতর জীবন কাটাচ্ছেন খামারীরা। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ফারুক খান বলেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ডাক-চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি আমার চাচা মতিউর রহমানকে বাড়ির দক্ষিন পাশে গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে রেখেছে চোরেরা। পরে দৌড়ে আমার গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি আমার ৩ টি গাভীও নিয়ে গেছে চুরেরা। একাধিক ভুক্তভোগী খামারী বলেন- বর্তমান সময়ে গরু লালন-পালন করা অনেক কষ্টের ব্যাপার। সারাদিন কাজ করে রাত জেগে গরু পাহাড়া দিতে হয়। পুলিশের নিয়মিত টহল না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। যা খামারিদের জন্য দুঃখজনক। আমরা অনেকই বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করেছি। গরুর দুধ ও গরু বিক্রি করে সাবলম্বী হওয়ার আশায়। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে ঋণের বোঝায় দিশেহারা। তাই আইন শৃঙ্খলার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।