বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে। দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে। আর সাংবাদিকদেরকে ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার-বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। কর্তৃতবাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে কোনো কিছু পাব এটা আশা করা যায় না। গতকাল মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ’ সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
দুদু বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছর দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মতিউর রহমানের উপর প্রথম আক্রমণ আসে নাই। মাহমুদুর রহমানের উপর আক্রমণ এসেছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক শফিক রেহমানের উপর আক্রমণ এসেছে। তিনি এমন আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে এই বৃদ্ধ বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে হয়েছে। তারপর পত্রিকা বন্ধ। আমার দেশ পত্রিকা, দিনকাল, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই দেশ যে জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল সবকিছু আজ পদদলিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন যেন একটি দলের হয়ে কাজ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা জীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাদের সংগঠন এই স্বৈরতন্ত্রের সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিবৃতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘ থেকে বলা হয়েছে ডিজিটাল আইন বাতিল করুন। আর আমাদের সরকার ও আইনমন্ত্রী বলেছে এটা বাতিল করার প্রয়োজন নেই। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। এ কথা সাংবাদিকরা লিখতে পারবে না। কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কাজ নাই, চাকরি নাই। আর এই কথা মানুষ বলতে পারবে না।
কৃষক দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ভালোই ভালো দাবিগুলো মেনে নেন। দাবি মেনে না নিলে যখন আন্দোলন শুরু হবে, বাতিল করা লাগবে না আপনারা পুরোটাই বাতিল হয়ে যাবেন, আপনাদের পুরোটাই পালাতে হবে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। চারটি বছর তাকে জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৬ থেকে ১৭টি বছর ধরে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। আমরা অনতিবিলম্বে সকল রাজনীতিবিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, বাছির জামাল, রাশিদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।