বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, একটার পর একটা দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই অগ্নিকা-ে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। সবার জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা ক্রমান্বয়ে চলছে। এ বছরে আরো কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কি কারণে ঘটেছে এবং সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা কেউ জানে না। মনে হচ্ছে কারো জবাবদিহিতা নেই। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই দেশ চালাচ্ছে। আমরা যেনো আল্লাহর ওয়াস্তে বেঁচে আছি। বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন। জি এম কাদের বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং অধিদপ্তর আছে।
সবারই আলাদাভাবে দায়-দায়িত্ব আছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের প্রধান কাজ। তাই রিক্সাওয়ালা থেকে শ্রমিক ও মজুরও ট্যাক্স দিয়ে সরকারকে প্রতিপালন করছে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সে সরকার চলে কিন্তু তাদের সুখ-দুঃখ বোঝে না। দুর্ঘটনা যেনো নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত না হয়। এ বছর মার্চে ৩টি এবং এপ্রিল ১টি দূর্ঘটনা ঘটেছে, এছাড়া গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়িত অগ্নিদূর্ঘটনা ঘটছেই। আমরা দাবি জানাচ্ছি, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন। বিনাসূদে বা স্বল্প সূদে ঋণ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যবসায় ফেরাতে হবে। অস্থায়ীভাবে একটি মার্কেট তৈরী করে দেয়া হোক, যাতে ঈদের আগে কিছু বেচাকেনা করতে পারে তারা। যাতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে এবং বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সংসদে ব্যবসায়ীদের কষ্টের কথা তুলে ধরবো। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আমরা সব সময় কাজ করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।