পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু, অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী ও রফতানি গন্তব্য। আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি এবং আগামী সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠক করবেন। রাজধানীতে বুধবার একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বিনামূল্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। এমনকি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পরে তারা আমাদের সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছে। অন্যান্য দেশও আমাদের সাহায্য করেছে। তার (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সাথে দেখা হলে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা খুব ভাগ্যবান যে পরপর তিনবার আমন্ত্রণ পেয়েছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ৩০ লাখ মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। অতএব, আমাদের গণতন্ত্রের পাঠের প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমেরিকাও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমাদের এক্ষেত্রে দ্বিমত নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘অনেক দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো তা করেনি। আমরা তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছি। আমরা তাদের বেশ কয়েকটি ইস্যুতে জড়িত করছি।’