শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

দুর্ঘটনা কমছে না কেন?

সরদার সিরাজ :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

দেশে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটছে। তাতে জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। আইন বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণেই ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটার প্রধান কারণ বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। দুর্ঘটনার অন্যতম হচ্ছে, গ্যাস বিস্ফারণ, সিলিন্ডার বিস্ফারণ, সড়ক দুর্ঘটনা, নৌদুর্ঘটনা, রেল দুর্ঘটনা, যত্রতত্র আগুন লাগা (গত রবিবার গভীর রাত থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর চার স্থানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে) ও বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, সেতু, রাস্তা, পাহাড়, ভূমিধস ইত্যাদি। এসবের প্রতিটি ক্ষেত্রেরই দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য আইন এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারি জনবল আছে। কিন্তু সবই যেন অকার্যকর। বাস্তবায়ন নেই। তাই অনবরত দুর্ঘটনা ঘটছে, যার অনেকগুলো মারাত্মক-ভয়াবহ। ফলে দুর্ঘটনা নিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, সিডনি-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস কর্তৃক ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের সবচেয়ে কম টেকসই ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা চতুর্থ। রাজউক গত ১৫ মার্চ এক গবেষণা রিপোর্টে বলেছে, মধুপুরে মাটির নিচে যে চ্যুতি রেখা রয়েছে, সেখানে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৮.৬৫ লাখ ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এ ভূমিকম্প হলে মারা যাবে ২.১০ লাখ এবং আহত হবে ২.২৯ লাখ মানুষ। আর্থিক ক্ষতি হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্র্নিমাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারি কিছুদিন আগে ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ঢাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, মোবাইল লাইন বন্ধ হয়ে যাবে। এইচবিআরআইয়ের গবেষণা রিপোর্ট মতে, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। ফলে ভূমিকম্প নিয়ে ঢাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। রাজউক চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং ও স্থাপনা দ্রুত ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সম্প্রতি। যা’হোক, দুর্ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা শোকবার্তা দেয় সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে। কখনো কখনো কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। দুর্ঘটনা বন্ধ করার নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দাখিল ও অনেক সুপারিশ করে। কিন্তু কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হয় না। তাই দুর্ঘটনা বন্ধ হয় না!
দেশে সংঘটিত দুর্ঘটনার সর্বাধিক হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তথ্য মতে, প্রতি মাসে সারাদেশে শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তন্মধ্যে ৫০ থেকে ৭০টি থাকে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনা। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে সারা দেশে ৬,৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ, যা আগের বছরের চেয়ে ২৭.৪৩% বেশি। নিহত-আহতদের মধ্যে অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ড্রাইভার ও হেলপার রয়েছে। এ দুর্ঘটনার মধ্যে বাস ১৪%, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ২৮.৩৯% আর মোটরসাইকেল ২৪.৮০%। দুর্ঘটনার ৫২.০২% আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.৭০% জাতীয় সড়কে ও ১১.৮৮% পার্শ্ব সড়কে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ৫.৬৭% রাজধানীতে, ১.৭১% চট্টগ্রাম শহরে এবং ০.৯৯% বিভিন্ন রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে। বুয়েটের গবেষণা মতে, দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে ২৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তাই মোটরসাইকেল মরণযান বলে খ্যাত হয়েছে। তবুও এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এটি ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি অনেকে রাইড শেয়ারিং করছে। বেকারদের কেউ কেউ এটিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। ঢাকায় মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে জীবিকা নির্বাহ করছে লক্ষাধিক মানুষ। তন্মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত বেকারও রয়েছে। বিআরটিএ’র তথ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৯টি। তন্মধ্যে ঢাকায় ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৭টি। এছাড়া, ঢাকার রাস্তায় ফিটনেস ছাড়া পাঁচ লাখেরও বেশি যানবাহন চলাচল করছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে। আর পঙ্গুরা অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকে। উপরন্তু পরিবারও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশও তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসাব মতে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের উন্নতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক গবেষণা রিপোর্ট মতে, সড়ক দুর্ঘটনার ধরনের হার ১৫.৪৮% মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪৫.৭৮ % নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ২৫.৫১% পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া এবং ১০.৭০% যানবাহনের পেছনে আঘাত করা।
দেশের সড়কে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, অপর্যাপ্ত ও অপ্রশস্ত সড়ক, বিদ্যমান সড়কের বিরাট অংশ ভাঙ্গা, ব্যাপক বাঁক, পথচারীদের চলাচলে অসাবধানতা, অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন,সড়ক ও মহাসড়কে অনেক নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহন চলা, যানবাহনে পুরানো টায়ার ব্যবহার, সড়কে গতিবেগ নির্ণয়ের যন্ত্র ও সিসি ক্যামেরা না থাকা, ড্রাইভিং ইন্সটিটিউট করে ড্রাইভারদের ভালো প্রশিক্ষণ না দেওয়া, সড়ক পথে চলাচলকারী যানবাহনের অর্ধেকের বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও আনফিট, রোড পারমিট না থাকা, গাড়ি চালকের বেশিরভাগই অদক্ষ, হেলপার ও শিশুদের গাড়ি চালানো, লাইসেন্সহীন চালক, গাড়ি চালকের বিরাট অংশের চোখের সমস্যা, মাদকাসক্ত ও প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অভাব এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহির অভাব ইত্যাদি। এছাড়া, সম্প্রতি এক বাস চালক বিবিসিকে বলেছেন, আমরা ট্রিপ হিসেবে টাকা পাই। আমাদের তো ফিক্সড কোন বেতন নাই, প্রতিদিন যতগুলো ট্রিপ দিতে পারবো, সেই হিসেবে আমাদের ইনকাম বেশি হবে। তাই অনেকেই চেষ্টা করে একটু বেশি ট্রিপ দিয়ে বেশি ইনকাম করার। আর বেশি ট্রিপ দিতে হবে বলে তারা গাড়িও বেশি জোরে চালায়। পুলিশের মতে, সারা দেশের মহা সড়কগুলোতে ৮৮৩টি বাঁকে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। বুয়েটের এক শিক্ষক বলেন, মহাসড়কের এসব বাঁক বছরের পর বছর আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাঁক সোজা করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বাঁক এখনো সোজা করা হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। রেল ক্রসিংয়ের বেশিরভাগে কোন গেইট নেই। যেখানে গেইট আছে, সেখানে লোক নেই। লোক থাকলেও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করে না। এসব কারণে রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বিআরটির সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, পেশাদার চালক তৈরির ত্রুটি এবং পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতায় ভালো চালক তৈরি হচ্ছে না। দুর্ঘটনার পেছনে এটিও একটি কারণ। দেশের সড়ক পথে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও চরম বিশৃঙ্খলা। ফলে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটা ছাড়াও ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক (চলতি পবিত্র রমজানে যানজটের মাত্রা অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে)। বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ জিডিপি প্রায় ৩%। এছাড়া, সড়কে চুরি-ডাকাতি হওয়ারও অন্ত নেই! যানজট সর্বাধিক ঢাকায়। ঢাকার যানজট দূর ও বাসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাস রুট রেশনালাইজেশনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কিন্তু এটা পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আন্তঃজেলা বাস-ট্রাক ঢাকার ভেতরে না ঢুকতে দেওয়া এবং বাসের কাউন্টার না রাখার সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী। কিন্তু বাস্তবায়িত হবে কি-না বলা কঠিন। সম্প্রতি বাসে ই-টিকেটিং চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটিও ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলার সংখ্যা অনেক। ঢাকার সড়কে গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ মামলা করেছে ৩৬ লাখেরও বেশি। এছাড়া, জরিমানা আদায় করেছে ২৮৯.২৮ কোটি টাকা। সারাদেশে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। তবুও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছেনা। বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আলম তালুকদার সম্প্রতি বিবিসিতে বলেন, দেশের সড়ক পরিবহন খাত জুড়ে নানা রকম চক্র তৈরি হয়েছে। এখানে একটা চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। যে যার মতো করে বাস চালাচ্ছে, সেটার কোন তদারকি নেই, নিয়ম শৃঙ্খলা নেই, কারও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই সড়ক জুড়ে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।
স্মরণীয় যে, দেশে বেবি ও ট্যাক্সি চলাচলে মিটারে বিল নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে বহু দিন থেকে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ উবার নিয়ন্ত্রিত হয় ভারতের দিল্লি থেকে।তবুও চালু হওয়ার পর থেকে একটুও অনিয়ম হয় না। মিটারে বিল নেওয়া, কল পাওয়ার সাথে সাথে হাজির হওয়া ও গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি হয়। দুর্ঘটনাও ঘটে না বললেই চলে। অথচ দেশের ভেতর থেকেই দেশের বেবি ও ট্যাক্সিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তেমনি অন্য যানবাহনও। অথচ দেশের ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নিয়ম মেনেই চলে। কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। দুর্ঘটনাও ঘটে না। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলছে বিশ্বের সর্বাধিক বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা, যা নিরসন হতে পারে সমগ্র পরিবহন খাতের তদারকির দায়িত্ব আর্মিকে দেয়া হলে। সেটা হলে সংশ্লিষ্ট গডফাদারদেরও দাপট খতম হবে। যা’হোক, দেশে বেকারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। তবুও কয়েক লাখ দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি হচ্ছে না! অথচ একটি দক্ষ ড্রাইভার তৈরি হতে মাত্র ৩/৪ মাস সময় লাগে। উপরন্তু ড্রাইভাররা চাহিদা মাফিক লাইসেন্সও পাচ্ছে না। ঘুরতে ঘুরতে এবং অর্থ ব্যয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া শুরু করা হয়েছে। এটা পাওয়া যে কত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানে।
সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্য অনেক আলোচনা, লেখালেখি, নিরাপদ সড়ক চাই দাবিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ইত্যাদি হয়েছে। এসবের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য চাপে তার বিধি জারি করা বন্ধ থাকে! অবশেষে দীর্ঘ চার বছর পর সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিধিমালা জারি করা হয়েছে গত ২৭ ডিসেম্বর।যার সারমর্ম হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারকে আর দুর্ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ভুক্তভোগী তিন লাখ টাকা সহায়তা এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এক লাখ টাকা। ক্ষতিপূরণের দাবিগুলো ১২ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। এছাড়া, বিধিমালা অনুসারে প্রতিটি চালকের লাইসেন্সের জন্য ১২ ‘দোষসূচক পয়েন্ট’ থাকবে। সড়ক পরিবহনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের কারণে এক বা দুটি পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। যদি একজন চালক সব পয়েন্ট হারায় তবে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ২০ বছরের নিচে কেউ যানবাহনের কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারের লাইসেন্স পাবে না। আর এই লাইসেন্স পেতে হলে কন্ডাক্টরকে অবশ্যই পঞ্চম শ্রেণি ও সুপারভাইজারকে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
অর্থাৎ সড়কে দুর্ঘটনার কারণসমূহ চিহ্নিত হয়েছে। এখন সে কারণগুলো দূর করার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিধিগুলো পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে সড়কে দুর্ঘটনা এবং যানজটও অনেক কমে যাবে। উপরন্তু অন্য দুর্ঘটনাগুলোর সংশ্লিষ্ট আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই সব ধরণের দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। ভূমিকম্প নিয়ে ঢাকাবাসীর আতংক দূর করার জন্য ৮ মাত্রার সহনীয় বাড়ি ও স্থাপনার এবং স্বাচ্ছন্দ্যে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা দরকার। সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট। sardarsiraj1955@gmail.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com