দুই হাজার কৃষকের মুখে হাঁসি ফোটাবে জাফত নগরের কংখাইয়া খাল খনন প্রকল্প। ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক খালটি খনন করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী রাউজান উপজেলার নোয়াজিসপুর ইউনিয়নের তেলপারই খালের সাথে সংযুক্ত কংখাইয়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ভরাট হয়ে তার নিজস্ব গভীরতা হারিয়েছে। ফলে এতদঞ্চলের কৃষকদের কয়েক হাজার একর কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এ ছাড়া খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি প্লাবিত হয়ে এসব এলাকার কৃষি জমি ও ফসল তলিয়ে যায়। এলাকার কৃষকদের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়বের সহায়তায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করান বিএডিসি থেকে। এ ছাড়া ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরো একটি সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে জাফত নগরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আবু তৈয়ব আনুষ্ঠানিক ভাবে কংখাইয়া খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব বলেন বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। প্রধান মন্রীর ঘোষনা এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে কৃষকদেরকে সারসহ প্রয়োজনীয় সকল কৃষি উপকারনে ভুর্তকী দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকরা কষ্ট করে ফসল ফলায় বলেই দেশ আজ কৃষিখাতে স্বয়ং সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ইফাদের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন কৃষি সম্প্রাসরন অধিদপ্তর। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির খনন কাজ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। খালটির খনন কাজ শেষ হলে আশপাশের এলাকার প্রায় দুই হাজার কৃষি জমি চাষের আওতায় আসবে। এ ছাড়া সামনের বর্ষা মৌসুমে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আশপাশের কৃষি জমি। এসময় বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী তমাল দাশ, উপসহকারী প্রকৌশলী দিপন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জিয়াসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।