ঈদ মানেই খুশি-আনন্দ। আর ছোটদের ঈদে নতুন টাকা এ আনন্দ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই তো ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতে বড়রা কিনে নেন নতুন টাকার বান্ডিল। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে নতুন টাকার বাজার। চাহিদাও বেড়েছে। এই সুযোগে নতুন টাকার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ব্যাংক থেকে নতুন টাকা পেতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে না।
গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে অস্থায়ী টাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অঙ্কের নতুন নোটের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতারা দরদাম করে নতুন টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।
তেমনই একজন শফিউল। তিনি গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে এসেছেন। জাগো নিউজকে বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও টাকা কিনতে এসেছি। ব্যাংকগুলোতে নতুন টাকার যে লাইন, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন টাকা নিতে গেলে আর ব্যক্তিগত কাজ হয় না। এজন্য খোলাবাজার থেকেই নতুন টাকা কিনে আসছি প্রতিবার। তবে এবার টাকার প্রতিটি বান্ডিলেই ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি চাওয়া হচ্ছে। একই কথা জানান অন্য ক্রেতা জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, এর আগের বছরে নতুন দুই টাকার নোট কিনেছিলাম ১৭০ টাকা দিয়ে, এবার ২২০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। দাম বেড়েছে ৫, ১০, ২০ টাকাসহ সব নোটের।
তবে ক্রেতাদের এসব কথা অস্বীকার করেন গুলিস্তানের নতুন টাকা ব্যবসায়ী রতন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এবার ক্রেতা আগের মতো নেই। মানুষ অন্য জিনিসই কিনতে পারছে না, সেখানে শখের টাকা কীভাবে কিনবেন।
দাম বাড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন দাম আগের মতোই আছে। মতিঝিলে নতুন টাকা বিক্রেতা সোলাইমান বলেন, টাকা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বেশি হওয়ায় অনেকেই দাম বেশি চাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা দাম জানেন, তাই বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই এখানে। এদিকে গুলিস্তানে গিয়ে দেখা যায়, এখান থেকে দুই টাকার এক বান্ডিল টাকা কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ২২০ টাকা, পাঁচ টাকার বান্ডিলে ১৮০-২০০ টাকা। আর ১০ টাকার প্রতি বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে ১৮০ টাকা, ২০ টাকা টাকার বান্ডিলে ১৭০-১৮০ টাকা, ৫০ টাকার বান্ডিল ১৬০-১৭০ টাকা, ১০০ টাকার বান্ডিলে ১৫০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে তুলনামূলক দাম কম রয়েছে মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে অস্থায়ী নতুন টাকার বাজার। এ বাজারে পাঁচ টাকার বান্ডিলে অতিরিক্ত ১৬০-১৭০ টাকা, ১০ টাকার প্রতি বান্ডিল টাকার জন্য অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা, ২০ টাকার বান্ডিলে ১৫০-১৬০ টাকা, ৫০ টাকার বান্ডিলে ১৫০ টাকা, ১০০ টাকার বান্ডিলে ১৩০-১৪০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা পর্যন্ত।