চট্টগ্রামে জলদস্যুর আত্মসমর্পণের পর থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ঈদ সামগ্রী উপহার এবং প্রণোদনা প্রদান করে থাকে র্যাব-৭। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ এপ্রিল মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী এবং পেকুয়া উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন আত্মসমর্পণকৃত আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল, বাঁশখালী পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবন যাপনের উপর একটি বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম(বার), পিপিএম, মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। র্যাব-৭, চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযান এবং কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত ২০১৮ সালের ৪৩ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয় এবং তাদের আত্মসমর্পণ পরবর্তী সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের সমাজে স্বস্তির সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন ও র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সহযোগিতার মনোভাবের কথা বিবেচনা করে গত ২০২০ সালে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম আরও ৩৪ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়। এসময় লেঃ কর্ণেল মোঃ মাহবুব আলম, পিপিএম, পিএসসি, অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম; মেজর মেহেদী হাসান, কোম্পানি কমান্ডার; সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাঁশখালী উপজেলা; সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার, মিডিয়া অফিসার, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম; সুধাংশু শেখর হালদার, ইন্সপেক্টর, তদন্ত, বাঁশখালী থানাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুরা র্যাবের এরুপ মানব কল্যানমূলক কর্মকান্ডে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ ও অপকর্ম থেকে ফিরে এসে সুন্দরভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা যোগানোর কথা প্রকাশ করেছে।