পাট চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা। কিন্তু চলমান তীব্র্র দাবদাহের কারনে পাট চাষীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ বছর পাট উৎপাদনের ব্যয় নিয়ে বেশ চিন্তিত কৃষকরা। এসব কারনে চলতি মওসুমে পাটের কাঙ্খিত ফলন পাবেন না এমনটাই আশঙ্কা করছেন অনেকে। উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষী রাসেল খান বলেন, এ বছর প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে। এক বিঘা জমিতে ১ বার সেচ করাতে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, ঔষধ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের চাষী সালাউদ্দিন জানান, ভ্যাপসা গরমে পাটে বিভিন্ন ধরনের পোঁকার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পাট চাষে সেচের পাশাপাশি পোঁকা দমনে আমাদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। দাবদাহের ফলে এবার ফলনও কম হবে বলে ধারণা করছি। অন্যান্য বছর বিঘায় ১৭-১৮ মন পাটের ফলন হলেও এ বছর ১৩-১৫ মনের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না। ভ্যাপসা গরম পাট চাষে কি ধরনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ইসলাম শরীফ বলেন, এই গরমে পাটের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে পাটে লেদা ও চেলে পোঁকার সংক্রমণ, পাতা ঝরা ও পাতায় ফোসকা পড়া অন্যতম কারণ। তবে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই, পরিমাণ মতো কীটনাশক ও সেচ দিলে এ সমস্যা সমাধান হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর সদরপুর উপজেলায় মোট ৬হাজার ৫শত ২৮হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এখনো পাটে তেমন কোন রোগ দেখা নেয়নি। থাকলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।