মুক্তি পেল তরুণ ও সম্ভাবনাময়ী সংগীতশিল্পী রাপ্তি সারওয়াতের গাওয়া জনপ্রিয় বাংলা গান ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’। গানটি নতুন করে গাইলেন তিনি। এটি তার ইউটিউব চ্যানেলে ২৭ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে।
কানাডা প্রবাসী প্রতিভাবান সংগীত পরিচালক পল্লবী মজুমদারের সংগীতায়োজনে গানটির মিউজিক ভিডিও’র নির্দেশনায় রয়েছেন জোবায়ের শাওন। মুক্তির পরপরই বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। শিল্পীর নিজস্ব গায়কীতে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। মূল ভাবের সঙ্গে মিল রেখেই তিনি গানটি গেয়েছেন। উপমহাদেশের স্বনামধন্য গায়ক ও সংগীত পরিচালক ভুপেন হাজারিকার মূল সুরে কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানার গায়কীতে উদ্বুদ্ধ হয়েই প্রবাসী এ শিল্পী নতুন করে গানটি গেয়েছেন।
রাপ্তির স্থায়ী বাস অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে। প্রবাস জীবনেও তিনি বাঙালি সংস্কৃতিকে একান্তভাবে লালন করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ উদযাপনসহ প্রবাসে সব ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনেই তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো।
মায়ের উৎসাহেই সংগীতে রাপ্তির হাতেখড়ি সেই পাঁচ বছর বয়সে। সংগীত চর্চার শুরু থেকেই রাপ্তি তার মেধার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। জীবনের প্রথম গানের প্রতিযোগিতাতেই প্রথম হন। এরপর একে একে শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতাসহ সকল আয়োজনেই রেখেছেন অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর।
তিনি শিশু একাডেমি, শিল্পকলা, নজরুল একাডেমি, অগ্নিবীণাসহ বাসাতেও নিয়মিতভাবে ওস্তাদ রেখে ক্ল্যাসিক্যাল, নজরুলগীতি ও ফোক গান শিখেছেন। অগ্নিবীণা ও নজরুল একাডেমিতে তিনি প্রয়াত একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল সংগীত শিল্পী ও গবেষক সুধীন দাশের সংস্পর্শে আসেন। এটিকে তিনি তার জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি বলে মনে করেন। রাপ্তি বিটিভির তালিকাভুক্ত নজরুল সংগীত শিল্পী। তিনি বাংলাদেশ বেতারেরও তালিকাভুক্ত শিল্পী। মূলত নজরুল গীতির শিল্পী হলেও পল্লীগীতি, লালনগীতি ও আধুনিক গানেও তার সমান দক্ষতা চোখে পড়ার মতো।
পেশায় চিকিৎসক রাপ্তি অস্ট্রেলিয়াতে জেনারেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে সফলতার সঙ্গে এমবিবিএস শেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান।
তার স্বামী সাব্বির আলমও একজন সংগীতশিল্পী। অস্ট্রেলিয়ায় পেশাজীবনের ব্যস্ততার পাশাপাশি এ দম্পতি গানেও সমান নিবেদিতপ্রাণ।