গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় একসিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের অধীনে ৩০টি শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব গড়ে উঠেছে। ক্লাবগুলোতে সপ্তাহে ৫ দিন জীবন দক্ষতামূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় কিশোর কিশোরীদের সাথে। এ-ছাড়া অনলাইন সেফটি, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ ও শিশু শ্রম প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সমাজসচেতন হচ্ছেন তারা। মাদকবিরোধী, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ও দূর্যোগকালীন সময়ে করণীয়সহ নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করছে ক্লাবের সদস্যরা। উপজেলা মহিলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ক্লাবে ১০-১৮ বছর বয়সের শিশু ও কিশোর-কিশোরী নিয়ে গঠন করা হয়েছে ক্লাব। ক্লাবগুলো দেখাশোনা করার জন্য প্রতিটা ক্লাবে ২ জন কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর এবং ২ জন পিয়ার লিডার কাজ করছে। ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীরা ক্লাবের সদস্য হয়ে শিখছে গান, কবিতা আবৃত্তি, জেন্ডার বিষয়সহ নানা বিষয়। এছাড়াও এপিসি প্রকল্পের আওতায় ক্লাবগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস, শিশু দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলোতে কিশোর কিশোরীদের অংশগ্রহণে যথাযথ ভাবে পালন করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার বলেন, কিশোর-কিশোরী ক্লাব আরো বাড়ানো দরকার। এই ক্লাবের মাধ্যমে তারা জানতে পারছে ১০৯৮, ১০৯ এবং ৯৯৯ কল দিলে কী হয়। কী কী সরকারি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তাও জানতে পারছে তারা। পাশাপাশি সমাজে নানা অসংগতির ব্যাপারেও জ্ঞানার্জন করছে তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার বলেন, ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রানীগঞ্জ তথা উপজেলার দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব। এই ক্লাবে শিশুদের শিক্ষা সমৃদ্ধি মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে, নারীর ক্ষমতায়ন,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করনীয়, বীনা মুল্য শিশুদের নাস্তা, গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তিতে শিশুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। দেশ ও জাতির কল্যানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এ-ই মহতি উদ্যোগে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে সংগীত শিক্ষিকা চম্পা রানী দাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র এনে নামমাত্র সম্মানিতে এ দায়িত্ব ও মহৎ কাজটি করে চলেছেন তিনি। তাছাড়া এসব ক্লাবে উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর কতৃক নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।