শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

মুন্সীগঞ্জ টু নারায়নগঞ্জ লেগুনা বন্ধ! যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

হুমায়ুন কবির মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ টু নারায়নগঞ্জ চলাচলে মুক্তারপুর ব্রিজ হতে চলাচলে চমর হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কিছু চাদাঁবাজদের কারণে। গত কাল শনিবার (২৯এপ্রিল)হতে মুন্সীগঞ্জের শ্রমজীবী মানুষের লেগুনাতে চলাচলের পথটি বন্ধ হয়ে যায় চাদাঁবাজ সিন্ডিকেটের কারণে।এই রুটে ৫২/৫৩ টি লেগুনা চলাচল করছে।মুক্তারপুর হতে নারায়নগঞ্জ ভাড়া মাত্র ৩৫/৪০ টাকা। মুক্তারপুর সেতু হওয়াতে মানুষ আর লঞ্চে যেতে চায় না।মুন্সীগঞ্জ হতে নারায়নগঞ্জ প্রতিনিয়তই লঞ্চ দুঘটনায় পড়তে হতো। এই ধরণের দুঘটনা হলে মুন্সীগঞ্জের লোকজনই আক্রান্ত হয়ে থাকে।প্রতিদিন মুন্সীগঞ্জ হতে দশ হাজারের মতো লোকজন নারায়নগঞ্জ এবং ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে গিয়ে থাকেন। প্রতিদিন গাড়ী প্রতি ৩০০ টাকা নারায়নগঞ্জ শ্রমিকদের মাধ্যমেই জমা নেয় বর্তমান ভুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোট মালিক সমিতি। আর এই টাকার বন্টন নিয়েই চলছে দেন-দরবার হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ এলাকার সাথে। এ বিষয় লেগুনা মালিক সমিতির (ভুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোট) সভাপতি মোঃ দিদার বলেন, মুন্সীগঞ্জ নয়াগাও এলাকার ফাইজুরের নেত্বীত্বে মুক্তারপুর টু নারায়নগঞ্জ চাষাড়ার লেগুনা চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফাইজুরের প্রথম দাবী ছিলো একটি লেগুনা এই রুটে যোগ করা। আমরা তাদের দাবী মেনে নেই। আবার নতুর ফন্দি করে মোটা টাকা দাবী করে আসছে। আমরা শ্রমজীবী, আর কতো দাবী মানবো? প্রয়োজনে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের এমপি সাহেবকে অবগত করবো। থানায় অভিযোগ করছেন কি না জানতে চাইলে দিদার বলেন, আজকের মধ্যে সমাধান না আসলে চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো বলে সাংবাদিকদের কাছে জানান। এই বিষয় মুন্সীগঞ্জ নয়াগাও এলাকার ফাইজুরের সাথে কথা বলে জানা যায় এই লেগুনা থেকে গাড়ীপ্রতি ৩০০ টাকা প্রতিদিন চাদাঁ উঠায়। আমাদের মুন্সীগঞ্জ এলাকার ৫/৭টি লেগুনা বাকী সব গাড়ী নারায়নগঞ্জ এলাকার। আমরা মুনাসীগঞ্জ এলাকায় গাড়ী প্রতি ১৫০ টাকা হারে দাবী করেছি। ঐ পক্ষ আমাদের দবী মানে নাই। তাহারাই মিথ্যা কথা ছড়িয়ে এলাকার সম্মান নষ্ট করতে চাইছেন এবং প্রতি লেগুনায় চাদাঁ আদায় করছেন। এই অবস্থায় আমরা কয়েকজন গত শনিবার লেগুনা স্টান্ডে গেলে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়। আমরাও চাই লেগুনা চলাচল চলুক। আমাদের সাথে আলোচনা করে তার পরে। আমরাও একটি দলের নাথে আছি। এক প্রশ্নের উত্তরে ফাইজার বলেন সাময়িক সমস্যা হলেও সব ঠিক চলছে। জনসাধারন এখন অটোগাড়ী, মিশুক, বা সিএনজিতে চলাচল করছেন। এই বিষয় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করলে জানাতে পারি কোন মামলা বা অভিযোগ হয় নাই। সদর ট্রাফিক অফিসেও যোগাযোগ করলে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর বজলুর রহমান বলেন জাহিদ মেম্বারে লোকজন গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। মালিক সমিতির টাকা মুন্সীগঞ্জ এলাকার লোকজন আদায় করতে চাওয়া অনৈতিক। যেহেতু গাড়ীগুলো মালিক সমিতির আন্ডারে চলছে। মানুষকে ভোগান্তির মাঝে ফেলে টাকা আদায় চেষ্টা মাত্র।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com