শস্য ভান্ডার খ্যাত নাটোরের চলনবিলে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের অভিষেক হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় চলনবিলের কৈগ্রাম এলাকায় স্থাপিত প্রদর্শনী খামারে শস্য কর্তন করা হয়। শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের বীজ এ বছরই প্রথমবারের মত কৃষক পর্যায়ে অবমুক্ত করে চাষাবাদ করা হয়। প্রাপ্ত পাঁচ কেজি বীজ চলনবিলের কৈগ্রামে খুরশেদ আলমের এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা হয়। ১৩৭ দিনের জীবনকালে আজ ধান কর্তন করা হয়। বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ। শস্য কর্তনকালে এলাকার অসংখ্য কৃষক নতুন উদ্ভাবিত ধানের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্যে খুরশেদ আলমের প্রদর্শনী খামারে ভিড় করেন। কৃষক আতাউর রহমান বলেন, বিনা-২৫ সুগন্ধিযুক্ত সরু চাল। এর চাহিদা হবে ব্যাপক। সামনের বছরে এ ধান চাষাবাদের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন সমবেত কৃষক জিল্লুর রহমান, মোজাফফর হোসেন, আইচান আলীসহ অন্যরা।
প্রদর্শনী খামারের সত্বাধিকারী কৃষক খুরশেদ আলম বলেন, আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ভালো ফলন পেয়েছি। ধানের মানও খুব ভালো। আশপাশের কৃষকদের আগ্রহ অনেক। তাই ফলনের সবটাই বীজ আকারে সংরক্ষণ করবো।
সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, বিনা-২৫ ধান এবারই প্রথম কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চাষ করা হয়েছে। প্রদর্শনী খামারের শস্য কর্তনকালে উপস্থিত কৃষকের আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। ফলাফলও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এ জাত ভবিষ্যতের জন্যে অনেক সম্ভাবনাময়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীতে এ ধান জেলার অন্যান্য এলাকাতে ছড়িয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে।