শরণখোলায় ডায়রিয়া ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে ঔষধের সংকটে বাজার থেকে রোগীদের ঔষধ কিনতে হচ্ছে। প্রচন্ড দাবদাহের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিমত। গত কয়েকদিনের প্রচন্ড গরম ও দাবদাহের কারণে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে মানুষজন ডায়রিয়া ও শিশুরা নিউমোনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে ২০ জন। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ২০/৩০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ হাসপাতলে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে প্রয়েজনীয় ঔষধ না থাকায় বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে বলে জানালেন তাফালবাড়ী গ্রামের রোগী ফাতেমা বেগম, ধানসাগর গ্রামের লুৎফর খান, কদমতলা গ্রামের সুমি বেগম ও ইব্রাহিম মোল্লা। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রচন্ড গরম ও দাবদাহের কারণে বর্তমানে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২৫/৩০ জন ডায়রিয়া ও ১০/১৫জন করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ৮৯জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ৫জন ভর্তি হয়েছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সিপ্রোসিন ও মেট্রো ইনজেকশন হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় তা বাজার থেকে কিনে আনার জন্য রোগীদের লিখে দেওয়া হচ্ছে বলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ জানিয়েছেন। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, ৫০ বেডের জনবল ও ঔষধ নিয়ে পরিচালনা করা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি হয় প্রায় শখানেক সে অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ঔষধের একটু সংকট হয়। কলেরা স্যালাইন যা রয়েছে তা দিয়ে কোন মতে রোগীদের ম্যানেজ করা হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।