মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত হানলেও বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় এলাকা জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে। ঝূঁকিপূর্ণ ও নিচু বেড়িবাঁধের কারণে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়ে অতীতের মতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মনিরুজ্জামান মুকুল স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, সুপার সাইক্লোন সিডর, আইলা, মহসিন, বুলবুল, আম্ফান ও ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিনিয়ত আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। আগে ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হলেও এখন বর্যা মৌসুমে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতেই প্লাবিত হয় উপকূলীয় এলাকা। দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলের জীবন ও জীবিকা। যে কারণে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়ে আসছে উপকূলবাসী। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসার খবরে উপকূলজুড়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এলেই বাঁধ ভাঙন আতংক দেখা দেয় শিশু, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ সমগ্র উপকূলবাসীর মধ্যে। কারণ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অধিকাংশ এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মিত হয়নি। ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধগুলোর অনেক স্থানই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ উপকূলের কয়েকটি এলাকায় মেগা প্রকল্প নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত তিন বছরে অনেকটা দায়সারাভাবে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। বাঁধের পাশের মাটি তুলে বাঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে বাঁধের পাশের ভূমি দুর্বল হয়েছে। বাঁধ মেরামত করতে সেখানকার গাছ কেটে ফেলায় ঝুঁকি বেড়েছে। এমতাবস্থায় আতংকিত না হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য উপকূলীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনো পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অগ্রিম রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সাইক্লোন সেন্টারসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তত ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানিসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুদ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট, বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে ৮ থেকে ১২ ফুট ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com