ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে মশক নিধনে, মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে, সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবার মাঠ জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে বিএনসিসি ও স্কাউট দল।
গতকাল বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মিরপুর সনি সিনেমা হল এলাকায় এই বিষয়ে মৌসুমের প্রথম সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্বান্ত নিয়েছি। বিভিন্ন অ লে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। আতিক বলেন, ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৭ মে বাঙালির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। সে কারণে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করতে এ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির প্রতিটি এলাকায় আলাদা সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এবং স্কাউটস সদস্যরা আমাদের এই সচেতনতা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। এজন্য তাদেরকে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি এলাকাকে ৪০০ স্কয়ার মিটার আলাদা করে এবং গ্রিডে ভাগ করে এডিস মশা নিধনে সচেতনতা ও দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা যে শুধু মশার উৎস দেখবে তা না, তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি বিষয়েও আমাদেরকে জানাবে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি সব স্থানে মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হচ্ছে কি না, কোথায় অভিযান জরুরি, এসব তথ্য তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে সব তথ্য তারা জানতে এবং জানাতে পারবে।
মেয়র আতিক বলেন, দশটি অ ল চিহ্নিত করে আলাদা সচেতনতা কার্যক্রম চালানোর জন্য আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। তারাও একইসাথে মশা নিয়ন্ত্রণের সচেতনতায় কাজ করবে। আমরা দুটি জায়গায় ফোকাস করছি। একটি সচেতনতা এবং অপরটি ওষুধ প্রয়োগ। এজন্য ডিএনসিসি এলাকায় বসবাসরত নগরবাসীকে স্কাউটস এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সহযোগিতা করারও আহ্বান জানাই। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা একটি মশকমুক্ত শহর গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।