ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞার জবাবে কড়া পদক্ষেপ নিলো রাশিয়া। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ৫০০ মার্কিন নাগরিককে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে। মন্ত্রক শুক্রবার আরও বলেছে যে, রাশিয়া আটক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গারশকোভিচের কনস্যুলার অ্যাক্সেসের জন্য সর্বশেষ মার্কিন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে, যাকে মার্চ মাসে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে জাতিসংঘে ভ্রমণকারী মিডিয়াকে ভিসা দিতে প্রত্যাখ্যানের কারণে আমেরিকার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের সূত্রপাত।
মস্কো আরো জানিয়েছে, ”ওয়াশিংটনের অনেক আগেই শেখা উচিত ছিল যে, রাশিয়ার উপর একটি শত্রুতামূলক আক্রমণও রেয়াত করা হবে না। ‘
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যার লক্ষ্য ছিল রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়া এবং কঠোরতম নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করা। এর আগে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি ভ্লাদিমির পুতিনের তার বর্বর আক্রমণ চালানোর ক্ষমতাতে লাগাম পরাবে এবং রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রচেষ্টাকে বন্ধ করার জন্য আমাদের বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ট্রেজারি বিভাগ বলেছে যে, রাশিয়ায় ২২ জন ব্যক্তিসহ ইলেকট্রনিক্স উপাদান, সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স , জাহাজ উৎপাদনকারী ২০ টিরও বেশি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে । রাশিয়ান ফেডারেশনের বিদেশী গোয়েন্দা পরিষেবাও নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছিল। তারই পাল্টা হিসেবে এবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, টেলিভিশন উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট এবং সিএনএনের ইরিন বার্নেটসহ ৫০০ মার্কিনীর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে রাশিয়া। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান