সত্যি কি আবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে, এই প্রশ্ন টক অব দ্য কান্ট্রি। একটি সহযোগী জাতীয় দৈনিকে এম একটি খবর প্রকাশের পর সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় ওঠেছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা অথবা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একটা দৈনিক পত্রিকায় আজ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে যে আমেরিকার আরো স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) আসছে। এবার রাজনীতিবিদরাও তালিকায় থাকছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত যে পত্রিকা লিখেছে, তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করুন। এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। গত ৫১ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা ট্রেনিংসহ নানান সহায়তা দিয়ে আসছেন। সেই সহায়তা অব্যাহতও আছে। আমরা যেটা মনে করি, যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন, তাদের সহযোগিতায়ই বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচ- প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।’ তিনি বলেন, ‘স্যাংশনস-পাল্টা স্যাংশনস, এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। কয়েক দশক ধরে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। কই ইরানের সরকার তো পড়ে যায়নি। ইরানের সরকার বহাল তবিয়তে আছে। তারপর কিউবার বিরুদ্ধে স্যাংশনস ছিল বহু বছর। কিউবাকে টলাতেও পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাইল দূরেই তো কিউবা। কিউবার সরকার পরিবর্তনও হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে বহু স্যাংশনস। মিয়ানমারেও তো সরকার পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও বহু স্যাংশনস। সেই স্যাংশনস অমান্য করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের (রাশিয়া) কাছ থেকে আমদানি করছে। ভারতও করছে, অনেকেই করছে…তো এগুলো (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না।’ ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য টানাপোড়েন শুরু হয়। এখন ফের নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তথ্য জেনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্য ও সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করছেন।
বাংলাদেশের ওপর আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে। মানবাধিকার ইস্যু ছাড়াও গণতন্ত্র খর্ব, রাজনৈতিক নিপীড়ন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে জড়িত সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর চলতি মাসেই নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের দূরত্ব যেন কমছেই না। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচন ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে ফেরত না দেওয়া এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুসহ নানা কারণে আওয়ামী লীগ সরকার যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাখোশ, তা বেশ দৃশ্যমান। তবুও দুই সরকারের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিয়মিত অংশীদারি সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক যোগাযোগও অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছেন। এমনকি নির্বাচন ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক নমনীয় স্বরে বক্তব্য দিচ্ছে। এরই মধ্যে ফের নিষেধাজ্ঞার আভাসে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র কি বর্তমান সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে? কোন স্বার্থ হাসিলে মার্কিন এই চাপ?
সরকারপ্রধানের মার্কিন সমালোচনা আরও কঠোর হয় চলতি বছর। গত ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারেÍএমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতাকর্মী-সমর্থকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না এমন মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
র্যাব প্রসঙ্গে বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে, তাদেরই প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাহিনীটি তারা যেভাবে তৈরি করেছে, সেভাবেই কাজ করছে। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল?
ফের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে শুধু রাজনৈতিকই নয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এমনকি কৌশলগতভাবেও জড়িত। তাই বৈশ্বিক প্রত্যাশা বিবেচনায় রেখে কাজ করলে নিষেধাজ্ঞার মতো চ্যালেঞ্জগুলো এড়ানো সম্ভব হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারকে চাপে রাখতে নিষেধাজ্ঞার কৌশল নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ চাপ অবশ্যই বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে নয়। বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন তাদের ফোকাস নয়। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনবিরোধী শক্তিশালী বলয় তৈরি করতে চায়। যেখানে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আর বাংলাদেশ সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’Íএই পররাষ্ট্র নীতি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ঘোষিত বহুল আলোচিত ভারত মহাসাগরীয় রূপরেখায়ও (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক) শেখ হাসিনার সরকার স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ ভাবনার কথা তুলে ধরেছে। স্বভাবতই যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের চেয়ে এই ভাবনা ভিন্ন, যা বাইডেন প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
গত দেড় দশকে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক দৃঢ় সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রেখেছে শেখ হাসিনার সরকার। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-রাজনীতি, ভূ-অর্থনীতি ও কৌশলগত নানা কারণ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বাংলাদেশকে নিজেদের বলয়ে রাখতে মরিয়া বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে। দুই শক্তিধরের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নও ভিন্ন। তবুও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাংলাদেশের সরকারের প্রভাব বলয়ে এবং নীতিনির্ধারক মহলে চীনের প্রভাব একচেটিয়া হয়ে গেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অ্যাকুজিশান অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (আকসা) ও জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) সই করতে চায়। এই দুটি চুক্তির অধীনে মার্কিন বাহিনী খাদ্য, জ্বালানি, গোলাবারুদ, সামরিক সরঞ্জামাদি সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় করতে চায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বহুজাতিক জ্বালানি করপোরেশন শেভরন স্থানীয় গ্যাসের সিংহভাগ উৎপাদন করে। টেক্সাসভিত্তিক প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এক্সেলারেট এনার্জি মহেশখালীতে দুটি ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন সেবা দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উপকূলে অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন তেল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এক্সনমোবিলসহ বেশ কিছু কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সব উন্মুক্ত গভীর পানির অফশোর ব্লক ও কিছু অনশোর ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব প্রস্তাব বাংলাদেশ জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিবেচনায় সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্বের নেপথ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের অতিমাত্রায় চীন সংবেদনশীলতা ও কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, মন্ত্রী হওয়ার আগে এ কে আব্দুল মোমেন একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে, যা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের টানাপোড়েনে ভস্মে ঘি ঢেলেছে।
এক নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকতে নতুন নিষেধাজ্ঞা এলে মাঠের রাজনীতিতে কোণঠাসা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর জন্য মেঘ না চাইতে জলের জোগান দেবে। এর ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনও চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, র্যাবের ওপর স্যাংশনের পরও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা কোনোভাবেই চাই না যে, এ দেশের কোনো নাগরিকের ওপর কোনো ধরনের স্যাংশন আসুক। কারণ, এর প্রভাবটা শুধু সেই ব্যক্তির ওপর সীমাবদ্ধ থাকে না, পুরো দেশ এবং দেশের অন্য নাগরিকের ওপর এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু কোনো একটি সংস্থা বা ব্যক্তি যদি এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতেই থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্যাংশন আসতে পারে। তবে সেই সিদ্ধান্ত তো স্যাংশন আরোপকারী দেশগুলো নেবে, এক্ষেত্রে আমাদের বলার কিছু নেই।
নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, আমাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতিই আছে। আমরা দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের সঙ্গে দেশের জনগণ আছে। সুতারাং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এরকম তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। জানি তারা প্রায়ই বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, দিতেই পারে। এটা তাদের নৈমিত্তিক বিষয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের সাথে ‘বিস্তৃত ও গভীর’ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে চায়। গতকাল রোববার (২১ মে) বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা আমরা আরো এগিয়ে নিতে চাই।’ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দিকে, যেখানে দাবি করা হয় যে আরো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এরপরই মার্কিন এই কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া যায়।