রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেছেন, শুধু আইন করে নয়, বরং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষাঙ্গন থেকে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সাথে সামাজিক অবক্ষয় রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেতে হবে। যৌন হয়রানি সামাজিক ও মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি আমাদের মেয়েদেরকে সাহসী ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রংপুর নগরীর আরডিআরএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতা ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে প্রস্তাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২২ এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এ সভা করা হয়। সভায় জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম রংপুর জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রংপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাওছার পারভীন, সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ নাসিম উদ্দিন, সংগঠক ও গবেষক ড. শাশ্বত ভট্টাচার্য, শিক্ষক আজহারুল ইসলাম দুলাল, নারী সংগঠক মোশফেকা রাজ্জাক, শিল্পী ও সংগঠক খন্দকার মোহাম্মদ আলী সম্রাট, নাট্যশিল্পী মাকছুদার রহমান মুকুল, সাংবাদিক ফরহাদুজ্জামান ফারুক, লাবনী ইয়াসমিন প্রমুখ। সভার শুরুতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও এডুকো বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরেন এডুকো বাংলাদেশের ম্যানেজার (পলিসি এন্ড অ্যাডভোকেসি) হালিমা আক্তার। তিনি প্রস্তাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও ও প্রতিকার আইন-২০২২ এর প্রয়োজনী, আইনের বিভিন্ন ধারা, উপধারা নিয়ে উন্মুক্ত আলাচনা করেন। সভাটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজেশ দে। এতে স্কুল, কলজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মী-সংগঠক, নারী উদ্যোক্তা, নারী নেত্রী, স্বেচ্ছাসেবী, এনজিওর প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।